পুকুর ভরাট করে প্রমোটিংয়ের অভিযোগ। শুধু তাই নয়, পুকুরকে বাস্তু জমি হিসেবে দেখাতে জাল নথি তৈরিরও অভিযোগ। খবর পেয়েই আসরে হাওড়া পুরসভা।
২৬ নম্বর ওয়ার্ডের মাধব ঘোষ লেনে একটি বিশাল পুকুর বুজিয়ে ফেলার কাজ চলছিল বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি অসাধু চক্র প্রায় সাড়ে এগারো কাঠার জলাশয়টিকে (বাদাম পুকুর) অর্ধেকের বেশি বুজিয়ে ফেলেছিল। তার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন স্থানীয় একটি ক্লাবের সদস্য-সহ বেশ কয়েক জন এলাকাবাসী। পাশাপাশি, পুরসভাতেও জানানো হয়েছিল অভিযোগ।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যবহার ও জলনিকাশি ব্যবস্থার জন্য ওই পুকুরের উপর নির্ভরশীল এলাকার বাসিন্দারা। পুকুর বোজানোর অভিযোগ পাওয়া মাত্রই সেখানে অভিযান চালিয়ে তা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়। তবে প্রথমে পুরকর্মীদের বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। এর পরে সোমবার জোর কদমে পুকুরটিকে আগের অবস্থায় ফেরানোর কাজ শুরু হয়।
আরও পড়ুন:
সোমবার সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী, প্রাক্তন পুরপিতা শ্যামল মিত্র প্রমুখ।
শ্যামল বলেন,‘‘স্থানীয় ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে পুকুর বোজানোর কাজ আটকানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যিনি পুকুরটি বিক্রি করেছেন তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে।’’ সুজয় বলেন, ‘‘পুরসভার রেকর্ডে জলা জমি বলে উল্লেখ রয়েছে অথচ জাল নথি বের করে বাস্তু জমি দেখিয়ে তা ভরাটের কাজ চলছিল। যা বড় ধরনের অপরাধ। প্রয়োজনে এফআইআর করা হবে। পুকুরটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’’