পুরভোট যত এগিয়ে আসছে, হুগলির নানা প্রান্তে বিরোধীদের তরফে ফের সেই পুরনো অভিযোগ ফিরে আসছে। চাপ, হুমকি দিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারের অভিযোগ। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ মানছে না।
তারকেশ্বরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম প্রার্থী আজিজুল মল্লিক পুরশুড়ার দেউলপাড়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তাঁর অভিযোগ, পুরশুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মোমিনউদ্দিন মিদ্যার নেতৃত্বে তৃণমূলের ছেলেরা স্কুলে চড়াও হয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য তাঁকে হুমকি দেয়। ওই ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান উত্তম কুন্ডু। আজিজুলের অভিযোগ, “বৃহস্পতিবার রাতে আমার বাড়ির ফটক ভাঙচুর করা হয়।’’ মোমিনউদ্দিনের দাবি, ‘‘রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের প্রসঙ্গ তুলে প্রধান শিক্ষককে মনোনয়ন প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছি।’’ হামলার অভিযোগ উত্তম মানেননি।
তারকেশ্বরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বামপ্রার্থী সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতেও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সৌরভের অভিযোগ, ‘‘প্রার্থিপদ তুলতে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’’ অভিযোগ উড়িয়ে বিদায়ী পুরপ্রধান স্বপন সামন্ত বলেন, ‘‘প্রতিবেশীর সঙ্গে অশান্তির কারণে ওইসব ঘটে থাকতে পারে।’’
শুক্রবার মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন আরামবাগের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী শেখ রবিয়াল। বিদায়ী পুরপ্রধান স্বপন নন্দীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। সিপিএম নেতা পূর্ণেন্দু চক্রবর্তীর অভিযোগ, “সন্ত্রাস করে, চাপ দিয়ে ওখানে মনোনয়ন তোলা হয়েছে।’’ আরামবাদের বিজেপি
প্রার্থীরা ‘উধাও’। বিজেপির রাজ্যনেতা তথা পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ বলেন, “সন্ত্রাস হবে জেনেই ১৮ জন প্রার্থীকে অন্যত্র সরিয়ে রেখেছি।’’ তৃণমূলের এক নেতার কথায়, ‘‘মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ধরে বিরোধীদের খোঁজ চলছে।’’ স্বপন নন্দীর দাবি, “কোনও চাপ দিইনি আমরা। রবিয়াল জানালেন, উন্নয়ন যাতে থমকে না যায়, তাই মনোনয়ন তুলে নেবেন।’’ রবিয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর মোবাইল বন্ধ ছিল।