বছরশেষে বন্ধুবান্ধব কিংবা আত্মীয়-পরিজনের বাড়িতে লেগেই থাকবে নানা জমায়েত। ভাবছেন কী খাবার রাখলে জমবে আপনার আড্ডা? বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন মুরগির গিলাফি কবাব। চা কিংবা কফির সঙ্গে বেশ জমবে এই পদ।
আজকাল চিকিৎসকদের কড়া নির্দেশে পাঁঠার মাংস খাওয়া প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন? ভাবছেন পাঁঠার মাংস ছাড়া কবাব কী জমবে? আলবাত জমবে। পাঁঠার মাংস নয়, মুরগি দিয়েই বানিয়ে ফেলুন রেস্তরাঁর মতো গিলাফি কবাব। ‘গিলাফি’ শব্দের অর্থ হল প্রলেপ। এই কবাবের উপর রংবেরঙের সব্জির প্রলেপ দিয়ে তার পর সেঁকা হয়। দেখে নিন সহজেই কী ভাবে বানাবেন এই কবাব।
উপকরণ:
বোনলেস মুরগির মাংস: ৫০০ গ্রাম
জল ঝরানো টক দই: আধ কাপ
ছাতু: ২-৩ টেবিল চামচ
গোলমরিচ গুঁড়ো: ১ টেবিল চামচ
গরম মশলা গুঁড়ো: ১ চা চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো: ১ টেবিল চামচ
কবাব মশলা: ১ টেবিল চামচ
কাঁচালঙ্কা বাটা: ১ টেবিল চামচ
আদা-রসুন বাটা: ২ টেবিল চামচ
ধনেপাতা কুচি: ৩ টেবিল চামচ
সর্ষের তেল: ২ টেবিল টামচ
নুন: স্বাদমতো
লাল, হলুদ, সবুজ বেলপেপারকুচি ২ কাপ
কাঠি বা শিক: ৫টি
কয়লা: ১ টুকরো
প্রণালী:
মুরগির মাংসের টুকরোগুলি ভাল করে ধুয়ে মিক্সিতে ঘুরিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এ বার একটি পাত্রে সেই মিশ্রণটি নিয়ে একে একে টক দই, ছাতু, গোলমরিচ গুঁড়ো, গরম মশলা গুঁড়ো, শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো, কবাব মশলা, আদা-রসুন বাটা, কাঁচালঙ্কা কুচি, ধনেপাতা কুচি, নুন, সর্ষের তেল দিয়ে ভাল করে মাখিয়ে রাখুন। এ বার পাত্রটি ঢাকা দিয়ে ফ্রিজে তুলে রাখুন ২-৩ ঘণ্টার জন্য। ফ্রিজ থেকে বার করে প্রয়োজনে মিশ্রণটি আরও আঁট করার জন্য পরিমাণমতো ছাতু যোগ করুন। একটি ছোট পাত্রে গরম কয়লাটি রাখুন। এর পর সেই পাত্রটি মূল মিশ্রণের মধ্যে রেখে কয়লার উপর ঘি ঢেলে পাত্রের মুখটি ভাল করে ঢেকে দিন, যাতে ঘি ও পোড়া গন্ধ দুই-ই মাংসের মিশ্রণে মিশে যায়। এ বার একটি শিক বা কাঠিতে তেল মাখিয়ে মাংসের মিশ্রণটি খানিকটা করে নিয়ে শিকের গায়ে কবাবের মতো গেঁথে নিন। এ বার একটি প্লেটে বেলপেপারের কুচি ছড়িয়ে দিন। কবাবগুলির গায়ে বেলপেপার মাখিয়ে নিন ভাল করে। গ্রিল চিহ্ন যুক্ত প্যানে সামান্য মাখন নিয়ে ভাল করে তাতিয়ে নিন। গেঁথে রাখা কবাবগুলি সেঁকে নিন। পুদিনার চাটনি আর পেঁয়াজের সঙ্গে গরমাগরম পরিবেশন করুন গিলাফি কবাব।