অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খাবারের মান নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ বিস্তর। শিশু, প্রসূতি ও অন্তঃসত্ত্বাদের যথাযথ পুষ্টি সরবরাহের দাবি দীর্ঘদিনের। শুক্রবার সংসদে দাঁড়িয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বরাদ্দ বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করলেন আরামবাগের সাংসদ মিতালি বাগ।
সংসদে মিতালি বলেন, “আমি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী থেকে সংসদ ভবনে এসেছি। নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রক থেকে বলা হচ্ছে, ৪০ হাজার আঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রকে উন্নীত করা হয়েছে। এ দিকে, বাজারদর অনুযায়ী পুষ্টির বরাদ্দ নেহাতই কম। কী ভাবে খাবারে গুণগত মান রক্ষা করব আমরা?”
একইসঙ্গে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের জন্য ‘পোষণ ট্র্যাকার’ নামে পোর্টালটি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সাংসদ। তিনি জানান, কর্মীদের কাজের যাবতীয় ছবি-সহ তথ্য এই পোর্টালে নথিভুক্ত করতে হচ্ছে। এ দিকে, প্রত্যন্ত গ্রামে ইন্টারনেট না-থাকায় নিজেদের হাজিরা- সহ নানা বিষয় পোর্টালে ‘আপলোড’ করতে সমস্যা হচ্ছে অঙ্গনওয়াড়ির কর্মীদের। মিতালি সংসদে বলেন, “পোষণ অভিযান না চালিয়ে পুষ্টি অভিযান চালালে ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হত বলে আমার মনে হয়।”
সংসদের অধ্যক্ষ তাঁর নির্দিষ্ট প্রশ্ন জানতে চাইলে মিতালি বলেন, “বাজারদর যে ভাবে আগুন হয়ে যাচ্ছে, তাতে কী ভাবে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে পুষ্টি দেওয়া যায়?”সেই প্রশ্নের যথাযথ কোনও উত্তর পেয়েছেন কি না, জানতে চাইলে সাংসদ বলেন, “ওঁদের উত্তর মানে, হচ্ছে-হবে, দিচ্ছি-দেব।”
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)