Advertisement
১০ ডিসেম্বর ২০২৩
Communal harmony

বসুমল্লিক পরিবারের পুজোয় শরিক শেখ কামরুল, হোসেনরাও

এই এলাকার হিন্দু পরিবারের পাশেই থাকে কয়েকটি মুসলিম পরিবার। বসুমল্লিক পরিবারের পুজোর অঙ্গ তারাও। ঠাকুর তৈরি থেকে বিসর্জন পর্যন্ত জোগাড় কাজে ব্যস্ত থাকেন।

ফুলেশ্বরের বসুমল্লিক পরিবারের দুর্গা আরাধনা।

ফুলেশ্বরের বসুমল্লিক পরিবারের দুর্গা আরাধনা। —ফাইল চিত্র।

সুব্রত জানা
ফুলেশ্বর শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৩ ০৯:১৭
Share: Save:

স্বপ্নাদেশ পেয়ে ঘটপুজোর মাধ্যমে শুরু হয়েছিল ফুলেশ্বরের বসুমল্লিক পরিবারের দুর্গা আরাধনা। সঙ্গতি ফেরার পর বাড়ির ঠাকুরদালানে শুরু হয় প্রতিমা গড়া। সেই পুজো এ বার ৯৯ বছর পার করতে চলেছে। তাই নতুন করে পুজো নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে পরিবার। বন্ধ হওয়া
পুতুল নাচ, নাটক শুরু পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের।

১৯২৪ সালে প্রয়াত নরেন্দ্রনাথ বসুমল্লিক এই পুজো শুরু করেন। কথিত আছে, তাঁর প্রথম পুত্র দ্বিজেন্দ্রনাথ জন্মের পর দুর্গাপুজো শুরু স্বপ্নাদেশ পান তিনি। সেই শুরু। পরিবারের নিজস্ব ঠাকুরদালানে প্রতিমা তৈরি হয় এবং সেখানেই আরাধনা হয় দেবীর।

এই এলাকার হিন্দু পরিবারের পাশেই থাকে কয়েকটি মুসলিম পরিবার। বসুমল্লিক পরিবারের পুজোর অঙ্গ তারাও। ঠাকুর তৈরি থেকে বিসর্জন পর্যন্ত জোগাড় কাজে ব্যস্ত থাকেন। তবে কাঠামো প্রস্তুত করা, নদী থেকে মাটি আনা, বাড়ি পরিষ্কারে হাত লাগান প্রতিবেশী শেখ ইসলাম, শেখ কামরুল ও আলি হোসেন। তাঁদের কথায়, ‘‘সারা বছর অপেক্ষা করে থাকি এই পুজোর জন্য। ইদে যেমন আনন্দ হয়, দুর্গাপুজোর আনন্দ তার থেকে কম নয়।’’

পরিবারের প্রবীণ সদস্য ক্ষিতীন বসুমল্লিক বলেন, ‘‘ঠাকুরের সন্ধিপুজোর ভোগ ব্রাহ্মণ
নিজেই করেন। পুজোতে ফল বলি হয়। বাড়ির উঠানে যাত্রার মঞ্চ বাঁধা হতো। তবে তা গত কয়েক বছর ধরে বন্ধ ছিল। এ বছর তা ফের শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে।’’

পরিবারের সদস্য পুষ্পেন বসুমল্লিক বলেন, ‘‘এই বছর থেকে দরিদ্রদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা, কম্বল বিতরণ করা হবে। তিন দিন ধরে চলবে যাত্রা, নাটক ও পুতুলনাচ। তবে আগে
বাড়ির লোকেরাই এই নাটকে যোগ দিতেন। এ বার কলকাতা থেকে যাত্রাদল আনা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE