এ বার পদত্যাগ করলেন হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা সুজয় চক্রবর্তী। শনিবার তাঁর পদত্যাগপত্র পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। ঘটনাচক্রে, দিনদুয়েক আগেই পদত্যাগ করেছিলেন হাওড়া পুর প্রশাসকমণ্ডলীর ভাইস চেয়ারপার্সন সৈকত চৌধুরী। তার অব্যবহিত পরেই পদত্যাগ করলেন সুজয়ও।
২০২১ সালের ১৮ অগস্ট থেকে হাওড়ার মুখ্য পুরপ্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন সুজয়। আগেও এক বার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু সে বার তাঁর ইস্তফা গৃহীত হয়নি। শনিবার ফের পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন সুজয়। আর্জি জানিয়েছেন, এ বারে যেন তাঁর ইস্তফা গৃহীত হয়। তবে এখনও এ বিষয়ে বিশদ কিছু জানা যায়নি হাওড়া পুরসভা সূত্রে।
দিনদুয়েক আগে প্রশাসকমণ্ডলীর ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন দক্ষিণ হাওড়ার আর এক তৃণমূল নেতা সৈকত। জল্পনা শোনা যাচ্ছিল, ‘দলীয় নির্দেশে’ই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সৈকত হাওড়া পুরসভার পদ্মপুকুর জল প্রকল্প এবং শহরে জল সরবরাহ ব্যবস্থার দায়িত্ব সামলেছেন। এ হেন সৈকতের ইস্তফার পর পুরসভা সূত্রে এ-ও শোনা গিয়েছিল, এর পর থেকে মুখ্য পুরপ্রশাসক সুজয়ই পদ্মপুকুর জল প্রকল্পের দায়িত্ব সামলাবেন। সেই আবহেই পদত্যাগ করলেন সুজয় নিজেও।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, পুজোর আগেই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পুর প্রশাসনে ‘পারফরম্যান্স’-এর ভিত্তিতে রদবদলের বার্তা দিয়েছিলেন। পাশাপাশি, গত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতে শহরাঞ্চলে দলের ‘গ্রহণযোগ্যতা’ ফেরাতে প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা নেতাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। তাই দলীয় সূত্রে খবর ছিল, সৈকতের পর আরও কয়েক জনকে পুর প্রশাসকমণ্ডলী থেকে সরানো হতে পারে। সেই আঁচ পেয়েই কি আগেভাগে পদত্যাগ করলেন সুজয়? তা নিয়ে ফের জল্পনা শুরু হয়েছে।
তবে সুজয় জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কারণেই পদত্যাগ করছেন তিনি। বিদায়ী মুখ্য পুরপ্রশাসকের কথায়, ‘‘আমাকে কেউ সরাতে চায়নি। ব্যক্তিগত কারণেই এই সিদ্ধান্ত। দল যদি অন্য কোনও দায়িত্ব দেয়, তা পালন করব।’’