Advertisement
০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
Extra Marital Affair

পুলিশের জালে বীরভূমের সেই ‘পরকীয়া’ প্রেমিক, প্রেমিকার শিশুকে মালগাড়িতে ফেলে মারেন

সোমবার বীরভূমের লাভপুর থেকে জিবায়তুল্লাহ শেখকে গ্রেফতার করেছে লিলুয়া থানার পুলিশ। হাওড়া আদালতে পেশ করা হয়েছে তাঁকে।

representational image of arrest

— প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
হাওড়া শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২৩ ১৭:১৯
Share: Save:

সেতু থেকে চলন্ত মালগাড়িতে ফেলে দিয়ে শিশুকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার এক। সোমবার বীরভূমের লাভপুর থেকে জিবায়তুল্লাহ শেখকে গ্রেফতার করেছে লিলুয়া থানার পুলিশ। হাওড়া আদালতে পেশ করা হয়েছে তাঁকে। রবিবার লিলুয়ার ভট্টনগর এলাকায় মালগাড়ি থেকে আহিদ শেখ নামে ওই শিশুর দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুটির মায়ের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল অভিযুক্তের। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিন দিন ধরে রাজ্যের একাধিক হোটেলে কাটিয়েছিলেন যুবক। শেষে সেই সম্পর্ক অস্বীকার করেন অভিযুক্ত। প্রেমিকাকে তিনি শ্বশুরবাড়ি ফিরে যেতে চাপ দেন। কিন্তু ওই তরুণী তাতে রাজি না হওয়ায় তাঁর পুত্রসন্তানকে রেললাইনে পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করার অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। খুনের প্রমাণ লোপাট করতে একটি মালগাড়ির উপর তিনি শিশুটির দেহ ছুড়ে দেন বলে অভিযোগ। প্রাণ বাঁচাতে ওই মালগাড়িতেই উঠেছিলেন প্রেমিকা। শেষে হাওড়া স্টেশন থেকে রেলপুলিশ (জিআরপি) শিশুটির দেহ উদ্ধার করেছে। বর্ধমান স্টেশনে জখম অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে যুবতীকে।

পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, জখম ওই মহিলার বাড়ি নদিয়ার চাপড়ায়। ১০ বছর আগে সম্বন্ধ করে বিয়ে হয় তাঁর। দম্পতির পুত্রসন্তান মাসখানেক আগে স্থানীয় একটি বেসরকারি মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। সেই সূত্রেই মাদ্রাসার শিক্ষক জিবায়তুল্লাহ শেখের সঙ্গে যুবতীর পরিচয়। সেখান থেকে দু’জনের প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। পরকীয়ার কারণে স্বামীর সঙ্গে যুবতীর সম্পর্কের অবনতি হয়। এর পর ওই শিক্ষকের সঙ্গে ঘর ছেড়েছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিল সন্তান।

পুলিশকে ওই তরুণী জানিয়েছেন, অভিযুক্ত আদতে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। বাড়ি থেকে বেরিয়ে কৃষ্ণনগরের এক মুসলিম রেজিস্টারের কাছে দু’জনে বিয়েও করেন। তার পর সন্তানকে নিয়ে শান্তিনিকেতনের একটি হোটেলে ওঠেন তিন জন। এর পর একের পর এক হোটেল বদল করেন তাঁরা। যুবতীর দাবি, শনিবার রাতে জিবায়তুল্লাহ তাঁকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য চাপ দেন। কিন্তু তিনি রাজি হননি। কথা কাটাকাটির পর শনিবার গভীর রাতে ট্রেন ধরার জন্য পূর্ব বর্ধমানের থানা জংশনে উপস্থিত হন তিন জন। কিন্তু রাতে কোনও লোকাল ট্রেন না পাওয়ায় রেললাইন ধরে হাঁটছিলেন তাঁরা। সে সময়ই এই কীর্তি করেন অভিযুক্ত। তরুণীর অভিযোগ, তাঁর ছেলেকে খুনের পাশাপাশি তাঁকে মারধর করে নগদ ৭০ হাজার টাকা এবং সোনার গয়না নিয়ে পালিয়েছিলেন অভিযুক্ত। পরে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE