Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Corruption

চাকরির নামে টাকা, এ বার নালিশ রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে

ওই মহিলা জানান, ২০১৭ সালে কলকাতায় বিকাশ ভবনের পিছনে একটি ভবনে তাঁর ‘ইন্টারভিউ’ হয়। যদিও, চাকরি জোটেনি।

রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ।

রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ। প্রতীকী চিত্র।

শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৩ ০৯:২৩
Share: Save:

নিজস্ব সংবাদদাতাপান্ডুয়া

চাকরির নামে টাকা নেওয়ার চক্রে রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত এক শিক্ষককে কাজে লাগিয়েছিলেন অয়ন শীল! হুগলির পান্ডুয়ার এক মহিলার অভিযোগ কার্যত এমনই।

শেখ আব্বাস আলি নামে অবসরপ্রাপ্ত ওই শিক্ষক অভিযোগ উড়িয়ে ওই মহিলার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আব্বাস বিজেপির রাজ্য সংখ্যালঘু মোর্চার সহ সভাপতি। অভিযোগ যে সময়ের, তখন তিনি তৃণমূলে ছিলেন।

কী অভিযোগ?

শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের কাছে পান্ডুয়ার বালিহাট্টার বাসিন্দা নাসিরা খাতুনের অভিযোগ, প্রাথমিকে চাকরির আশায় ২০১৫ সালে তিনি আব্বাসকে পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। পরে আব্বাস জানান, ওই টাকা অয়নকে দিয়েছেন। অয়নের ফোন নম্বরও দেন। নাসিরার দাবি, ‘‘অয়নের সঙ্গে যোগাযোগ করি। চুঁচুড়ায় তাঁর বাড়িতেও যাই। আমার মতোই আরও কয়েক জন যান।অয়ন চাকরির আশ্বাস দেন। কিন্তু চাকরি হয়নি।’’

ওই মহিলা জানান, ২০১৭ সালে কলকাতায় বিকাশ ভবনের পিছনে একটি ভবনে তাঁর ‘ইন্টারভিউ’ হয়। যদিও, চাকরি জোটেনি। শেষে, তাঁরা আব্বাসের কাছে টাকা ফেরত চান। আব্বাস যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। বছর দুয়েক আগে আব্বাসকে রাস্তায় ধরেও তিনি টাকা চান। সেই নিয়ে গোলমাল হয়। পুলিশ পরিস্থিতি সামলায়।

নাসিরা বলেন, ‘‘তখন পুলিশকে মৌখিক ভাবে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। তবে, টাকা ফেরত পাইনি। নিয়োগ দুর্নীতিতে অয়নের জড়িত থাকার খবর সংবাদমাধ্যমে দেখছি। অপরাধীদের সাজা এবং আমাদের টাকা ফেরতের দাবি জানাচ্ছি।’’

আব্বাসের দাবি, ‘‘মিথ্যে অভিযোগ। তৃণমূলের চক্রান্ত। চাকরির নামে কারও থেকে টাকা নিইনি।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘উনি (নাসিরা) আমার পরিচিত। একটি বিষয়ে ওঁর সঙ্গে আমার গোলমাল হয়েছিল। তাই, আমাকে হেয় করতে ২০২১ সালের জুন মাসে স্থানীয় কালনা রোডে চায়ের দোকানে আমাকে ধরে ওই মহিলা কয়েক জনকে সঙ্গে নিয়ে চাকরির নামে টাকা নেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমার থেকে টাকা ফেরত চান। সেই ঝামেলা থেকে পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে। এখনযে ভাবে সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করছেন, ওঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।’’

পান্ডুয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি সঞ্জয় ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ‘‘আব্বাসের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ ছিল। তাই, আমাদের দল থেকে ওঁকে বের করে দেওয়া হয়।’’ বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতিতুষার মজুমদার বলেন, ‘‘কেউ ব্যক্তিগত ভাবে দুর্নীতি করলেও,দল রেয়াত করবে না। বিষয়টিদলের রাজ্য নেতৃত্বকে জানাব। অভিযোগের সত্যতা পেলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Corruption SSC recruitment scam Pandua
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE