সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় কেন্দ্রে প্রতি কুইন্টালে ৫ কেজি ধান বেশি নেওয়ায় চাষিদের বিক্ষোভ। শুক্রবার তারকেশ্বরের কলাইকুণ্ডু সমবায় সমিতিতে।
সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় কেন্দ্রে প্রতি কুইন্টালে ৫ কেজি ধান বেশি (ধলতা) নেওয়ার অভিযোগ উঠল চালকলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার তারকেশ্বরের কলাইকুণ্ডু সমবায় সমিতিতে ধান ক্রয় কেন্দ্রে এমনই অভিযোগ তুলে চালকল মালিকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান চাষিরা। তর্কবিতর্ক হয়। পরে সমবায় সমিতির মধ্যস্থতায় গোলমাল মেটে। ফের ধান কেনা শুরু হয়।
ধান বেচতে আসা চাষিদের একাংশের অভিযোগ, সরকারি কোনও নির্দেশিকা ছাড়াই কুইন্টালপ্রতি ৫ কেজি ধান ধলতা নেওয়া হচ্ছিল। কতটা ধলতা নেওয়া যাবে, তা নিয়ে সরকারি নির্দেশিকা দেখানোর দাবি তোলেন বিক্ষোভকারী চাষিরা। এলাকার তৃণমূল নেতাদের দাবি, রাজনৈতিক ফয়দা তোলার জন্য সিপিএম বিক্ষোভ করেছে। প্রকৃত কোনও চাষি বিক্ষোভে ছিলেন না। সিপিএমের কৃষকসভার স্থানীয় এক নেতার বক্তব্য, ‘‘আমাদের দলের নয়, সাধারণ চাষিরাই ন্যায্য দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তৃণমূল সব জায়গা থেকে কাটমানি খায়। এ ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয়।’’ অভিযোগ উড়িয়ে এলাকার এক তৃণমূল নেতার প্রতিক্রিয়া, ‘‘কাটমানির প্রশ্নই নেই। এই বিক্ষোভ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রাজ্য সরকার চাষিদের সহযোগিতা করছে। তাঁদের যাতে কেউ ঠকাতে না পারে, সে দিকেও নজর রাখা হচ্ছে।’’
সমবায়ের এক আধিকারিক জানান, সরকারি একটি সংস্থা সমিতির মাধ্যমে ধান কিনছে। সেই ধান নিচ্ছে আরামবাগের একটি চালকল। শুরুতেই ধান বেশি নেওয়ায় একটি সমস্যা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যস্থতায় মিটেছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০০ কেজি ধানে ৬৮ কেজি চাল পাওয়ার কথা। কিন্তু চালকল মালিকদের একাংশের বক্তব্য, সমপরিমাণ ধানে ৬৮ কেজি চাল পাওয়া যাচ্ছে না। সেই কারণে ধানের গুণমান যাচাই করে সেই অনুযায়ী ধলতা নেওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy