E-Paper

সেচ দফতরের জমি ‘দখল’ করে তৃণমূলের কার্যালয়

মূলত যাঁর নেতৃত্বে ওই কার্যালয় গড়া হয়েছে বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তিনি চণ্ডীতলা ১ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য শেখ হাসেম। অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেননি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:৫৬
এই নির্মাণ ঘিরেই অভিযোগ।

এই নির্মাণ ঘিরেই অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র।

সেচ দফতরের জমি দখল করে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে চণ্ডীতলায়।

আঁইয়া পঞ্চায়েতের বাঁধপুর পোলের কাছ দিয়ে হয়ে গিয়েছে ডিভিসি খাল। এই খালের পাশের সেচ দফতরের জমি দখল করেই ক’দিন আগে তৃণমূলের ওই কার্যালয় গড়ার কাজ শুরু হয় বলে ব্লক প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে শাসক দল পরিচালিত পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকেই। একইসঙ্গে ওই জমি দখলমুক্ত করার দাবিও জানানো হয়েছে। বিরোধীরাও এ নিয়ে সরব।

অভিযোগপত্র পাওয়ার কথা স্বীকার করে বিডিও দীপাঞ্জন জানা উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।

মূলত যাঁর নেতৃত্বে ওই কার্যালয় গড়া হয়েছে বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তিনি চণ্ডীতলা ১ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য শেখ হাসেম। অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেননি। তিনি বলেন, ‘‘সেচ দফতরের ওই জমি দখল করে অনেকে দোকানঘর তৈরি করেছেন। তাই আমাদের তরফ থেকে দলীয় কার্যালয় তৈরি করা হয়েছে। প্রশাসন ভেঙে দিলে দেবে।’’

পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ অসিকুল্লার অভিযোগ, ‘‘ওখানে সেচ দফতরের জমিতে একটি নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। কিছু গাছ কাটা হয়েছে। কে করছে, জানি না। সরকারি জমিতে বেআইনি ভাবে নির্মাণ হচ্ছে বলে পঞ্চায়েতের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।’’ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ভোলানাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দলকে না জানিয়ে দলীয় কার্যালয় তৈরি করা হচ্ছে।‌ বিষয়টি জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।’’

সিপএমের চণ্ডীতলা ১ এরিয়া কমিটির সম্পাদক সঞ্জয় ঘোষ বলেন, ‘‘তৃণমূল এখন সরকারি সম্পত্তিকে নিজেদের মনে করে। চণ্ডীতলা জুড়ে তৃণমূলের নেতাদের মদতে সরকারি জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

chanditala

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy