ফুটপাত জবরদখলমুক্ত করতে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে হুগলির বিভিন্ন শহরে। শুক্রবার সকালে চুঁচুড়ার খাদিনা মোড়ের কাছে কয়েকটি বৈধ দোকানের প্রবেশপথের পাকা অংশ (নর্দমার উপরের সিঁড়ি) ভাঙতে
শুরু করেন পুরকর্মীরা। এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায়।
বৃহস্পতিবার মহকুমা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পরে পুর-কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, আগামী সপ্তাহের শুরুতে ফুটপাত দখলমুক্ত করার কাজ শুরু হবে। এ দিন ওই কাজ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায়। অনেকেই মনে করেন, পুর-কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ অভিযানে নেমেছেন। ব্যবসায়ীরাও ভেবেছিলেন, কয়েক দিন সময় দেওয়ার কথা বলেও পুর-কর্তৃপক্ষ কথা রাখলেন না।
ভ্রান্তি দূর করেন পুর-কর্তৃপক্ষ। পুরপ্রধান অমিত রায় জানান, নিকাশি নালা পরিষ্কারের কাজের জন্য ওই সমস্ত দোকানদারদের সম্মতিতেই নর্দমার উপরে কংক্রিটের ওই নির্মাণ ভাঙা হয়েছে। এরসঙ্গে দখলমুক্ত করার অভিযানের কোনও সম্পর্ক নেই। পুর পারিষদ (স্বাস্থ্য) জয়দেব অধিকারী বলেন, ‘‘ডেঙ্গি প্রতিরোধে প্রতি বছরেই বিশেষ সাফাই অভিযান চালানো হয়। সেটাই শুরু হল।’’
এ দিকে, উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে শুক্রবার চন্দননগর পুরসভার সামনে বিক্ষোভ দেখাল সংযুক্ত নাগরিক কমিটি। মেয়র রাম চক্রবর্তীকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। সংগঠনের হুগলি জেলা সম্পাদক হীরালাল সিংহ বলেন, ‘‘দখলমুক্ত করার নামে ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ আমরা মানব না।’’ মেয়রের প্রতিক্রিয়া, ‘‘মানুষের সুবিধার্থে ফুটপাত দখলমুক্ত করা আর উচ্ছেদ এক নয়। কোনও ব্যবসায়ীকে উঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে না। শুধু চলাফেরার জায়গা ছেড়ে দিতে বলা হচ্ছে। নচেৎ, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)