Advertisement
E-Paper

অ্যাম্বুল্যান্স মেলেনি, সংক্রমিত মাকে নিয়ে বাইকে হাসপাতালে

অসুস্থ মা পাছে বাইক থেকে পড়ে যান, সে জন্য নিজের পেটের সঙ্গে গামছা দিয়ে বেঁধে নিয়েছিলেন।

সুশান্ত সরকার

শেষ আপডেট: ২২ মে ২০২১ ০৫:৪৩
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

অ্যাম্বুল্যান্স মেলেনি। অগত্যা করোনা সংক্রমিত মাকে মোটরবাইকে চাপিয়েই হাসপাতালে নিয়ে এলেন যুবক ছেলে। অসুস্থ মা পাছে বাইক থেকে পড়ে যান, সে জন্য নিজের পেটের সঙ্গে গামছা দিয়ে বেঁধে নিয়েছিলেন। শুক্রবার পান্ডুয়ার ঘটনা।

বৈঁচীগ্রামের বাসিন্দা ওই যুবক জানান, তাঁর মায়ের বয়স ৫৮। দিন সাতেক আগে করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। তিনি বাড়িতেই নিভৃতবাসে ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত থেকে তিনি কাহিল হয়ে পড়েন। শুক্রবার সকালে পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ফোনে যোগাযোগ করা হলে রোগীকে নিয়ে আসতে বলা হয়। এর পরেই পরিবারের লোকেরা অ্যাম্বুল্যান্সের খোঁজ শুরু করেন।

যুবকটি বলেন, ‘‘অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য পান্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ সঞ্জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করি। তিনি অ্যাম্বুল্যান্স জোগাড় করে দিতে পারেননি। বেশ কয়েক জন অ্যাম্বুল্যান্স-চালক এবং ব্যক্তিগত গাড়ির চালকের সঙ্গেও কথা বলি। তাঁরা জানিয়ে দেন, করোনা সংক্রমিতকে নিয়ে যেতে পারবেন না।’’

উপায়ান্তর না দেখে বেলা সওয়া ১১টা নাগাদ ওই যুবক নিজেই মোটরবাইকে মাকে চাপিয়ে ৭ কিলোমিটার দূরের ওই হাসপাতালে রওনা হন। মিনিট কুড়ির মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছন। সেখানে প্রৌঢ়াকে পরীক্ষা করে ওষুধ দেওয়া হয়। ফের একই ভাবে মাকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন যুবক। মা বাদেও তাঁর স্ত্রী-ছেলেমেয়ে করোনা পজ়িটিভ। সকলেই বাড়িতে নিভৃতবাসে রয়েছেন। যুবকটি এবং তাঁর বাবা নেগেটিভ।

করোনা রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে কেন পাওয়া গেল না অ্যাম্বুল্যান্স?

সঞ্জিতের দাবি, ‘‘ওই যুবক আমাকে ফোন করেছিলেন। তবে, আমি ব্লকে যোগাযোগ করার আগেই উনি মাকে নিয়ে হাসপাতালে চলে যান।’’ এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী রত্না দে নাগ বলেন, ‘‘পান্ডুয়ায় সেফ হাউসে দু’টি অ্যাম্বুল্যান্স আছে। সেগুলি শুধু করোনা রোগীদের জন্য। ওঁরা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সমস্যা হত না।’’ তিনি জানান, সরকারি এই পরিষেবার কথা প্রশাসনের তরফে গ্রামে মাইকে প্রচারও করা হচ্ছে।

COVID-19 coronavirus
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy