Advertisement
E-Paper

এসে পৌঁছয়নি ভ্যাকসিন, হাওড়ায় টিকাকরণ পণ্ডই

অভাব রয়েছে মূলত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের। এটির জোগান নেই। কোভ্যাক্সিনের জোগান আছে।

নুরুল আবসার এবং সুব্রত জানা

শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২১ ০৫:৩৩
 উলুবেড়িয়া ইএসআই হাসপাতালে ভ্যাকসিন নেওয়ায় জন্য সকাল থেকেই লাইন। বিকেল পর্যন্ত ভ্যাকসিন পাওয়া যায়নি।

উলুবেড়িয়া ইএসআই হাসপাতালে ভ্যাকসিন নেওয়ায় জন্য সকাল থেকেই লাইন। বিকেল পর্যন্ত ভ্যাকসিন পাওয়া যায়নি। ছবি: সুব্রত জানা।

কথা ছিল, শুক্রবার হাওড়া জেলায় কোভিড ভ্যাকসিন আসবে। কিন্তু এ দিন বিকেল পর্যন্ত তা পৌঁছয়নি। ফলে, টিকাকরণের কাজ এ দিনও ব্যাহত হল। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের অবশ্য দাবি, শীঘ্রই ভ্যাকসিন এসে যাবে। তখন টিকাকরণের হার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, অভাব রয়েছে মূলত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের। এটির জোগান নেই। কোভ্যাক্সিনের জোগান আছে। কিন্তু শুধুমাত্র কোভ্যাক্সিন দিয়ে টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যাচ্ছে না। কারণ হিসেবে স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, এখন মূলত দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়া হচ্ছে। প্রথম ডোজ়ে যাঁদের কোভিশিল্ড দেওয়া হয়েছিল, দ্বিতীয় বারেও তাঁদের এই ভ্যাকসিনই নিতে হবে। কোভিশিল্ডের জোগান না-থাকায় তাঁদের দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়া যাচ্ছে না। তবে, প্রথম ডোজ়ে যাঁরা কোভ্যাক্সিন নিয়েছিলেন, তাঁদের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে না।

এই জেলায় প্রতিদিন ২০ হাজার জনকে টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু ভ্যাকসিনের অভাবে সেই লক্ষ্যমাত্রা গত কয়েক দিন ধরে পূরণ করা যাচ্ছে না বলে স্বাস্থ্যকর্তারা মানছেন।

শুক্রবার উলুবেড়িয়া ইএসআই হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল, টিকাকরণের জন্য লম্বা লাইন। কিন্তু এ দিন কাউকেই টিকা দেওয়া যায়নি। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, যাঁরা এ দিন ওই হাসপাতালে গিয়েছিলেন, তাঁদের দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়ার কথা। কিন্তু প্রথমে কোভিশিল্ড নেওয়ায় তাঁদের ফিরিয়ে দিতে হয়। কোভিশিল্ড এলে তাঁদের খবর দেওয়া হবে।

এ দিকে, জেলায় করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। বৃহস্পতিবারের সরকারি বুলেটিন অনুযায়ী, দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৩৯৫। মোট সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা এ দিন ছিল ২৪১১ জন। এ দিন মারাও গিয়েছেন ১ জন।

শুক্রবার উলুবেড়িয়া পুরসভার পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন মহকুমাশাসক অরিন্দম বিশ্বাস। সেখানে ঠিক হয়েছে, মাস্ক পরা, স্যানিটাইজার ব্যবহার, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য নাগরিকদের সচেতন করতে প্রচার চালানো হবে। দোকানদারদের কাছে আবেদন করা হবে— মাস্ক পরে না-এলে কাউকে যেন পণ্য বিক্রি না-করা হয়। অটো-চাল‌কদের কাছে আবেদন করা হবে, মাস্ক না-পরলে কোনও যাত্রীকে যেন তাঁরা অটোতে না তোলেন। মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘মাইকে এবং হ্যান্ডবিলের মাধ্যমে সচেতনতার প্রচার চালানো হবে।’’

Corona coronavirus COVID19
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy