শ্রীমন্ত ঘোষ এবং তাঁর স্ত্রী সোমা রায় ঘোষ। —ফাইল চিত্র।
হুগলির ধনেখালিতে একই রাতে উদ্ধার হল দম্পতির জোড়া দেহ। তবে দু’জনের দেহ মিলল দু’জায়গায়। স্ত্রী-র দেহ ঝুলছিল ওই দম্পতির বাড়ির বাইরে একটি গাছের দড়িতে। স্বামীর দেহ পাওয়া গেল তাঁদের বাড়িতে সিলিং ফ্যানের থেকে ঝুলন্ত অবস্থায়। একই রাতে জোড়া অস্বাভাবিক মৃত্যুুর এই ঘটনায় পরিজনদের অভিযোগ, সম্পত্তির লোভেেই দু’জনকে খুন করা হয়েছে। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে ধনেখালি থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার রাতে ধনেখালির তালবোনা বাউনপাড়া এলাকার বাসিন্দা শ্রীমন্ত ঘোষ (৩৬) এবং তাঁর স্ত্রী সোমা রায় ঘোষ (৩২)-এর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে।
দম্পতির আত্মীয়স্বজনেরা জানিয়েছেন, বছর দুয়েক আগে শ্রীমন্তের সঙ্গে সোমার বিয়ে হয়েছিল। একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে কর্মরত শ্রীমন্তের স্ত্রী সোমা ধনেখালির সোমসারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন। সোমবার রাতে তাঁদের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া যায়।
এই ঘটনায় অন্য ‘গন্ধ’ পাচ্ছেন দম্পতির আত্মীয়েরা। মঙ্গলবার সোমার ভাই সজল রায় বলেন, “সোমবার রাতে আমরা খবর পাই যে পারিবারিক অশান্তির জেরে দিদি-জামাইবাবু আত্মহত্যা করেছেন।” সজলের দাবি, “দিদি-জামাইবাবুর একসঙ্গে আত্মঘাতী হওয়ার খবরে শুনেই আমাদের সন্দেহ হয়। যদি তাঁরা আত্মহত্যা করেও থাকে, তা হলে তাঁদের বাধ্য করা হয়েছে। জামাইবাবুর পরিবারের লোকেরাই এ কাজ করে থাকতে পারে।” প্রায় একই অভিযোগ করেছেন সোমার জামাইবাবু তপন রায়। তিনি বলেন, “সম্পত্তির লোভে দু’জনকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমার ভাইরাভাইয়ের দাদা-বৌদিই এ কাজ করেছে।”
যদিও ওই দম্পতিকে খুনের তত্ত্বে এখনও সায় দেয়নি পুলিশ। ধনেখালি থানার তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, এটা আত্মহত্যার ঘটনা। তবে আত্মীয়দের এই অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করা হবে। দম্পতির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তার রিপোর্ট এলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy