অমলেন্দু ঘোষ ও শ্রাবণী ঘোষ। নিজস্ব চিত্র।
ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছে স্ত্রীর নিথর দেহ। গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় স্বামী ঝুলছেন সিলিং থেকে। বৃহস্পতিবার এক দম্পতির দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল হুগলির রিষড়ার ষষ্ঠীতলায়। পড়শিদের কাছ থেকে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জোড়া দেহ উদ্ধার করে রিষড়া থানার পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোটও। বাজারে ধারদেনার বিপুল চাপের হাত থেকে ‘মুক্তি’ পেতেই স্বামী-স্ত্রী আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। তাঁদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম অমলেন্দু ঘোষ (৬২) এবং শ্রাবণী ঘোষ (৫৮)। অমলেন্দু ও শ্রাবণী নিঃসন্তান। ষষ্ঠীতলার ভাড়াবাড়িতে দীর্ঘ দিন ধরেই থাকতেন তাঁরা। সেখান থেকেই তাঁদের দেহ উদ্ধার হয়। যে সুইসাইড নোটটি পাওয়া গিয়েছে, তা থেকে পুলিশের অনুমান, স্ত্রীর চিকিৎসার বিপুল খরচ সামাল দিতে বাজারে অনেক ধারদেনা করে ফেলেছিলেন অমলেন্দু। তা থেকে অবসাদজনিত কারণে তাঁরা আত্মহত্যা করেছেন। দম্পতির অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তে নেমে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, অমলেন্দু যাঁর কাছ থেকে মাছ কিনতেন, বৃহস্পতিবার সকালেই সেই মাছ বিক্রেতার ধার মিটিয়েছিলেন তিনি।
অমলেন্দু রিষ়ড়া থানার প্রতিরোধ বাহিনীর এক জন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। আর শ্রাবণী ছিলেন এলাকায় বিজেপির সক্রিয় কর্মী। রিষড়া পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর মনোজ সিংহ বলেন, ‘‘ওঁদের মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝামেলা ছিল না বলেই জানি। বাকিটা পুলিশ তদন্ত করে দেখুক কী হয়েছিল।’’
এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy