E-Paper

চলতি বছর শেষে চালু হতে পারে মেট্রো, হাওড়ার মঙ্গলাহাট বদলে কি শনি এবং রবিবার বসবে?

মেট্র্রো চালু হলে মঙ্গলহাটের নির্দিষ্ট দু’দিন, সোম ও মঙ্গলবার হাওড়া ময়দান এলাকার পরিস্থিতি কী হতে পারে, তা ভেবে হাটের দিন পরিবর্তন করতে তৎপর হয়েছে পুরসভা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৩ ০৬:১৫
Mangalahat

হাটের দিন পরিবর্তন করতে তৎপর হয়েছে হাওড়া পুরসভা। ফাইল চিত্র।

মেট্রোর কথা ভেবে বদলে যেতে চলেছে হাওড়ার মঙ্গলাহাটের নির্ধারিত দু’টি দিন।

চলতি বছরের শেষেই হাওড়া ময়দান থেকে চালু হয়ে যেতে পারে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর পরিষেবা। বর্তমানে এসপ্লানেড থেকে ওই দূরত্বে মহড়া-দৌড় চলছে। মেট্র্রো চালু হলে মঙ্গলহাটের নির্দিষ্ট দু’দিন, সোম ও মঙ্গলবার হাওড়া ময়দান এলাকার পরিস্থিতি কী হতে পারে, তা ভেবে হাটের দিন পরিবর্তন করতে তৎপর হয়েছে পুরসভা। শুক্রবার হাওড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী জানান, জেলা প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে ব্যবসায়ীদের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, নির্ধারিত সোম ও মঙ্গলের পরিবর্তে মঙ্গলাহাট বসবে শনি ও রবিবার। এ নিয়ে হাট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলা হবে।

ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর এক দিকের প্রান্তিক স্টেশন হাওড়া ময়দান। সেখানে হাটের দু’দিন যে সমস্যা হবে, তা বলাই বাহুল্য। জেলা প্রশাসনের বক্তব্য, বঙ্গবাসী বা হাওড়া ময়দান চত্বরে যেখানে মঙ্গলাহাট বসে সেখানে ৩টি স্কুল, ১টি কলেজ, হাওড়া জেলা হাসপাতাল, জেলাশাসকের দফতর-সহ প্রশাসনের বহু দফতর এবং আদালত রয়েছে। এমনিতেই হাটের দু’দিন যানজট হয়। বঙ্কিম সেতুর নীচে মহাত্মা গান্ধী রোড, এমনকি জি টি রোড, হাওড়া গার্লস কলেজের সামনের রাস্তা দখল করে বস্ত্র ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করেন। ফলে সেখান দিয়ে চলাফেরা করা যায় না।

পুরসভার বক্তব্য, হাওড়া ময়দান থেকে মেট্রো চালু হলে কাজের দিন কয়েক হাজার যাত্রী ওঠানামা করবেন। ফলে তীব্র যানজট হবে ওই বাণিজ্য কেন্দ্রে। হাট বসলে সেটা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা। তাই শনি ও রবিবার ছুটির দিন ব্যবসায়ীদের হাট বসানোর প্রস্তাব দিয়েছে হাওড়া পুরসভা।

‘পশ্চিমবঙ্গ বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতি’র সম্পাদক পরিমল রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘প্রশাসনের কারও সঙ্গে আমাদের সংগঠনের কথা হয়নি। অনেক আলোচনা করেই তবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে প্রশাসনকে। কারণ সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে কয়েক হাজার ব্যবসায়ী মঙ্গলাহাটে জামাকাপড় বিক্রি করতে আসেন।’’ হাট ব্যবসায়ীদের অন্য সংগঠন ‘হাওড়া হাট ব্যবসায়ী সমন্বয় কমিটি’র তরফে কানাই পোদ্দারের বক্তব্য, ‘‘পুরসভার চেয়ারপার্সন প্রাথমিক ভাবে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। প্রশাসন আলোচনা চাইলে আমরা প্রস্তুত।’’

প্রসঙ্গত, মঙ্গলাহাটে ১১টি হাট-বাড়ি যেমন রয়েছে, তেমনই রাস্তায় বসা পাইকারি ও খুচরো বিক্রেতাও রয়েছেন প্রায় ২০ হাজার। ফলে মেট্রো চালু হলে রাস্তায় আর হাট বসতে দেওয়া যাবে কি না, তা-ও আলোচনা করা প্রয়োজন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Mangalahat Howrah Municipality Corporation

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy