সাঁতরাগাছি ঝিলকে কেন্দ্র করে ইকো-পর্যটন প্রকল্প গড়ে তোলা যায় কি না, এ বার তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য সরকার ও রেলের শীর্ষ স্তরে। দীর্ঘদিন ধরেই এই ঝিলের দূষণ সংক্রান্ত মামলা চলছে জাতীয় পরিবেশ আদালতে। কিন্তু, দূষণ কমাতে নিকাশি পরিশোধন প্লান্ট (এসটিপি) তৈরির জন্য জমির সংস্থান, রেলের জমি থেকে জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ-সহ একাধিক বিষয়ে রাজ্য-রেলের চাপান-উতোর ছাড়া আর বিশেষ অগ্রগতি হয়নি।
সে কারণে সাঁতরাগাছি ঝিলের দূষণ কমাতে একযোগে কাজ করার জন্য গত অক্টোবরে রাজ্যের মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে এবং রেলের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল পরিবেশ আদালত। প্রশাসন সূত্রের খবর, সেই কমিটির বৈঠকে রাজ্যের পর্যটন দফতর ও রেলের পারস্পরিক সহযোগিতায় ঝিলকে কেন্দ্র করে ইকো-পর্যটন প্রকল্পের কথা উঠে আসে। লাভ-ক্ষতি আধাআধি বণ্টনের ভিত্তিতে (রেভিনিউ শেয়ারিং মডেল) ওই প্রকল্প করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নবান্ন সূত্রে এ-ও জানা যাচ্ছে, এসটিপি তৈরি করতে জমি দেবে রেল। তা নির্মাণের খরচ আদালতের নির্দেশ মতো ভাগ করে নেবে রেল ও রাজ্য। আবার, ঝিলের কচুরিপানা সাফ করা এবং ঝিল-কেন্দ্রিক গাছপালার ব্যবস্থাপনায় সাহায্য করবে রাজ্য জীববৈচিত্র পর্ষদ। এ ছাড়া, ঝিল নিয়মিত পরিষ্কার রাখা, সেখানকার কঠিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য পরিষ্কারের দায়িত্ব নেবে রাজ্য। অন্য দিকে, ঝিলের রাস্তার উন্নয়ন এবং নতুন দখলকারী বসা আটকানো রেলকে নিশ্চিত করতে হবে।
যদিও মামলার আবেদনকারী সুভাষ দত্ত বলছেন, ‘‘গত সাত বছর ধরে অনেক বৈঠক, অনেক সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু ঝিলের দুরবস্থা কাটেনি। এ বারও যত ক্ষণ না বৈঠকে গৃহীত প্রস্তাব কার্যকর হচ্ছে, তত ক্ষণ ঝিলের দূষণ কমার আশা নেই!’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)