প্রতীকী ছবি।
হাওড়া শহরের যে সমস্ত এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ বেশি, সেখানকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করবে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। কোভিডের পাশাপাশি এ বার ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে এবং এই মারণ রোগকে আটকাতে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। হাওড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘ডেঙ্গি আক্রান্তকে কামড়ানো মশা আর কাউকে কামড়ে সেই রোগ ছড়াচ্ছে কি না, তা দেখতেই রক্ত পরীক্ষার সিদ্ধান্ত। এর জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে একটি দলও তৈরি করা হয়েছে।’’
হাওড়ায় এ বছর মঙ্গলবার পর্যন্ত ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬। শুধু শহরাঞ্চলেই আক্রান্ত ৩৭ জন। গ্রামাঞ্চলে আক্রান্তের সংখ্যা ৯। বর্তমানে হাওড়া পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিললেই তিনি যে অঞ্চলের বাসিন্দা, সেখানে ছুটে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। খবর দেওয়া হচ্ছে পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগকেও। তার পরেই সংশ্লিষ্ট এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে রক্ত পরীক্ষা করছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। এর পাশাপাশি, পুরসভার পক্ষ থেকেও ওই সমস্ত এলাকায় চালু করা হচ্ছে ‘ফিভার ক্লিনিক’। পুরসভার ওই দলটিই পাড়ায় পাড়ায় খোঁজ নিয়ে জানার চেষ্টা করছে, কোথাও কারও জ্বর হয়েছে কি না।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, হাওড়া পুরসভার ৩১ ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে অন্য ওয়ার্ডগুলির চেয়ে অনেকটাই বেশি। সেই কারণে ওই সমস্ত এলাকার বিভিন্ন ক্লাবে ও পুরসভার অফিসে রক্ত পরীক্ষার শিবির খোলা হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের বক্তব্য, ডেঙ্গির বাহক এডিস ইজিপ্টাই শ্রেণির স্ত্রী মশারা সাধারণত দিনের বেলায় কামড়ায়। ওই মশার কামড় থেকেই ডেঙ্গির সংক্রমণ ছড়ায়।
স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, বেশির ভাগ মানুষের শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু প্রবেশ করলেও সামান্য জ্বর, মাথাব্যথা ও সর্দি-কাশির বেশি কিছু হয় না। তাই তাঁরা ডেঙ্গির পরীক্ষাও করাচ্ছেন না, চিকিৎসকের কাছেও যাচ্ছেন না। ডেঙ্গির সংক্রমণ রোধে এই ধরনের রোগীদের চিহ্নিত করতেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে রক্ত পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy