E-Paper

দখলদারি: রাস্তায় নেমে আবেদনে জোর সদরে

পুরসভা সূত্রের খবর, আলোচনা শুরুর আধ ঘণ্টার মধ্যেই বেরিয়ে যান পুর-পারিষদ (স্বাস্থ্য) জয়দেব অধিকারী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২৪ ০৮:৩২
রাস্তা ঘেঁষে দোকান। চুঁচুডার পিপুলপাতিতে।

রাস্তা ঘেঁষে দোকান। চুঁচুডার পিপুলপাতিতে। নিজস্ব চিত্র।

নোটিস পড়েছিল, ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে চুঁচুড়া হাসপাতাল রোডের বেআইনি দখলদারি না সরলে পুরসভাই সরিয়ে দেবে। কিন্তু তিন দিন পরেও উচ্ছেদে হাত পড়েনি। পুরসভার ঘোষণা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন স্থানীয় বিধায়ক অসিত মজুমদার। সেই কারণেই এই পদক্ষেপ থমকে বলে অনেকের ধারণা। অবশ্য বিধায়ক এবম পুরপ্রধান অমিত রায় এ বার এক সুরে জানালেন আগামী ৬ অগস্ট পথে নেমে আবেদন জানানো হবে।

দখলদার সরানো নিয়ে বুধবার রাত পর্যন্ত মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে বৈঠক হয়। পুরসভা সূত্রের খবর, আলোচনা শুরুর আধ ঘণ্টার মধ্যেই বেরিয়ে যান পুর-পারিষদ (স্বাস্থ্য) জয়দেব অধিকারী। তাঁর দাবি, ‘‘শরীর ভাল লাগছিল না। তাই বাড়ি চলে গিয়েছিলাম।’’ তবে, একটি সূত্রের দাবি, বৈঠকে অসিতের মনোভাব পছন্দ না হওয়াতেই জয়দেবের প্রস্থান।

এ নিয়ে মুখ খোলেননি প্রশাসনিক কর্তারা। অসিতও মন্তব্য করেননি। তিনি শুধু বলেন, ‘‘বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। হকাররাও নাগরিক। আগামী ৬ অগস্ট বিকেলে প্রশাসন ও পুর-কর্তৃপক্ষকে নিয়ে চলাচলের জায়গা ছাড়ার জন্য দোকানদারদের অনুরোধ জানাব।’’ পুরপ্রধানও বলেন, ‘‘ওই দিন (৬ অগস্ট) পুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিধায়ক এবং পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা থাকবেন। তখন কোন দোকানের কতটা অংশ ছাঁটতে হবে, তা বলে দেওয়া হবে। সেইমতো কেউ দোকান সরিয়ে না নিলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’

পুরসভা অবশ্য এই মর্মে ইতিমধ্যেই মাইকে প্রচার করেছে, দোকানে-দোকানে নোটিস দিয়েছে। এর পরেই ইমামবাড়া হাসপাতালের উল্টো দিকে বিএসএনএলের পাঁচিল ঘেঁষে থাকা কয়েকটি ‘অবৈধ’ দোকানের মালিকেরা রাস্তার কিছুটা অংশ নিজেরাই ছেড়ে দেন। তবে, এই রাস্তার পিপুলপাতি, সায়রা মোড় প্রভৃতি এলাকার ছবিটা একই আছে।

তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ সমীকরণে বিধায়ক অসিত এবং পুরপ্রধান অমিত রায় দুই মেরুতে। ফলে, পুরসভার আগের সিদ্ধান্তে বিধায়কের আপত্তির নেপথ্যে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখছে রাজনৈতিক শিবির।

পুরসভা সূত্রের খবর, শহরের মোট ২১টি রাস্তায় দখলদারির ‘প্রবল’ সমস্যার কথা বুধবারের বৈঠকে ওঠে। বিধায়ক জানিয়ে দেন, কোনও জায়গা থেকেই উচ্ছেদের পক্ষে তিনি নন। আগেই তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, তিনি পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদের বিপক্ষে।

পুরসভা এবং প্রশাসনের পর্যবেক্ষণ, হাসপাতাল রোডে বহু বৈধ দোকানও সরকারি জায়গা দখল করে রয়েছে। বাস স্ট্যান্ডের উল্টো দিকের ফুটপাত আটকে রয়েছে নামী রেস্তরাঁর বড় জেনারেটর। আখনবাজারে নামী রেস্তরাঁয় আসা লোকেদের গাড়ি থাকে রাস্তাতেই। ঘড়ির মোড়ে নালার উপরে সারি দিয়ে গুমটি রয়েছে। এমন উদাহরণ
আরও আছে।

অভিযান থমকে যাওয়ায় অস্বস্তিতে প্রশাসনও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহকুমা (সদর) প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুয়ায়ী পুরসভা সিদ্ধান্ত নেবে। পুলিশ-প্রশাসন সহযোগিতা করবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Chinsurah Eviction Notice

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy