E-Paper

রহড়ায় নির্মীয়মাণ স্কুলে দুষ্কৃতীদের ‘তাণ্ডব’

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, স্কুলে মাটি ফেলার বরাত পাওয়া নিয়েই এই গন্ডগোল। এক পক্ষ বরাত না পাওয়ার কারণে তাদের লোকজন ওই হামলা চালায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২৪ ০৮:০৩
Representative Image

—প্রতীকী ছবি।

স্কুল তৈরির কাজ চলছিল। সেখানেই বুধবার রাতে আচমকা হামলা চালিয়ে বোমাবাজি ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল এক দল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। রহড়ার বন্দিপুরে একটি নির্মীয়মাণ ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের এই ঘটনায় স্থানীয় থানার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দাদের একাংশ।

অভিযোগ, রহড়া থানার উদাসীনতার কারণেই এলাকায় দুষ্কৃতীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এ বার তারা হামলা চালিয়েছে স্কুল চত্বরেও। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘এই ধরনের ঘটনা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।’’ পাশাপাশি, এ হেন ঘটনার নেপথ্যে পুলিশি উদাসীনতার প্রমাণ মিললে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন ওই পুলিশকর্তা।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, স্কুলে মাটি ফেলার বরাত পাওয়া নিয়েই এই গন্ডগোল। এক পক্ষ বরাত না পাওয়ার কারণে তাদের লোকজন ওই হামলা চালায়। সূত্রের খবর, কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে বেশ কিছু দিন ধরেই ওই স্কুলটি তৈরির কাজ চলছে। বুধবার রাতে সেখানে মাটি ফেলার কাজ হচ্ছিল। মাটি ফেলে ডাম্পার বেরিয়ে যাওয়ার কিছু ক্ষণ পরেই একটি গাড়িতে করে কয়েক জন যুবক এসে দাঁড়ায় ওই স্কুলের দরজার সামনে। অভিযোগ, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তারা চলে যাওয়ার পরমুহূর্তেই ১০-১২ জন দুষ্কৃতী সেখানে আসে। তারা গাড়ি থেকে নেমে স্কুলের দরজায় বোমাবাজি শুরু করে বলে অভিযোগ। এর পরে ধাক্কাধাক্কি করে স্কুলের গেট ভেঙে তারা ভিতরে ঢোকে বলে দাবি নিরাপত্তারক্ষী ও কর্মীদের। এক কর্মী গোপাল সাউ জানাচ্ছেন, দুষ্কৃতীদের কয়েক জনের মুখ বাঁধা ছিল। এক জনের হাতে ধারালো অস্ত্র এবং আর এক জনের হাতে পিস্তল ছিল।

ওই কর্মী বলেন, ‘‘ওরা ঢুকেই আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তার পরে রিসেপশনের টেবিল-সহ অন্যান্য জিনিস ভাঙচুর করে। ভেঙে দেয় সিসি ক্যামেরাও।’’ বেশ কিছু ক্ষণ ধরে তাণ্ডব চালানোর পরে কয়েকটি ক্যামেরা খুলে নিয়ে ওই দুষ্কৃতীরা চলে যায়। তবে ক্যামেরার হার্ড ডিস্ক নিয়ে যেতে পারেনি তারা। সেটি সংগ্রহ করেছে পুলিশ।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Rahara Miscreants

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy