দগ্ধ কারখানার ভিতরে দমকলকর্মীরা। — নিজস্ব চিত্র।
রবিবার সাতসকালে কারখানায় আগুন। দমকলের ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে। জানা গিয়েছে, হুগলির চুঁচুড়ায় একটি কারখানা থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা দমকলে খবর দেন। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় দমকলকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, চুঁচুড়া পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের চৌমাথা এলাকায় নিমাই লাহার বাড়িত দোতলায় একটি স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরির কারখানা আছে। রবিবার সকালে সেখান থেকেই ধোঁয়া বেরোতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর যায় দমকলে। কারখানার ভিতরে তুলো, প্লাস্টিকের মতো দাহ্য পদার্থ ঠাসা ছিল। দাহ্য বস্তু হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কারখানার ভিতরের সবই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। দমকলের একটি ইঞ্জিনের ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় কারখানায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এলাকাটি অত্যন্ত ঘিঞ্জি। তাই আগুন নেভাতে গিয়ে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় দমকলকে। পরিস্থিতি এমনই হয় যে, আগুনের উৎসের কাছাকাছি পৌঁছতেই পারেনি দমকল। অনেকটা দূর থেকেই আগুন নেভানোর কাজ চালিয়ে নিয়ে যেতে হয় দমকলকর্মীদের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায়। চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘কী থেকে আগুন লেগেছে, তা দমকল বলতে পারবে। তবে আগুন লাগার পর স্থানীয় বাসিন্দারা যে ভাবে ঝাঁপিয়ে পরে নেভানোর কাজে হাত লাগিয়েছেন, তা প্রশংসার যোগ্য।’’ কারখানার কাছেই একটি পুকুর থেকে পাম্প চালিয়ে জল তুলে আগুন নেভানো হয়। তা দেখে স্থানীয় বাসিন্দা বলছেন, ‘‘এতেই বোঝা যায়, শহরে জলাশয় থাকা কত জরুরি।’’
দমকল আধিকারিক প্রবীর বসু জানান, সম্ভবত শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছিল। স্যানিটারি ন্যাপকিন কারখানায় সবটাই দাহ্য। ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পেরেছে। ওই কারখানার নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy