E-Paper

জমল ইদের আগের শেষ রবিবারের বাজার

বিগত বছরগুলোর তুলনায় চলতি বছরে ইদে বৈদ্যবাটী, শেওড়াফুলি, ভদ্রেশ্বর ও চাঁপদানি বাজারে অবশ্য ক্রেতার দেখা তেমন মেলেনি বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৪ ০৭:৫২
জামাকাপড় কেনার ভিড় উলুবেড়িয়ায় (উপরে)। ইদের কেনাকাটা আরামবাগে।

জামাকাপড় কেনার ভিড় উলুবেড়িয়ায় (উপরে)। ইদের কেনাকাটা আরামবাগে। ছবি: সুব্রত জানা।

টানা দাবদাহের পর রবিবার আবহাওয়া ছিল একেবারে অন্য রকমের। তাপমাত্রায় এক ধাক্কায় নেমে গিয়েছিল অনেকটাই। পড়ছিল ঝিরঝিরে বৃষ্টিও। আবার চলতি এপ্রিলে লক্ষ্মীর ভান্ডারের বরাদ্দও বেড়েছে। সব মিলিয়ে ইদের আগের শেষ রবিবার জমে উঠেছিল বাজার।

এ দিন সকাল থেকে উলুবেড়িয়া, আন্দুল, সাঁকরাইল, বাগনান বাজারে ভিড় ছিল নজরে পড়ার মতো। পাঞ্জাবি, লুঙ্গি, আতর, টুপি, জুতো, সিমুইয়ের দোকানগুলিতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। এ দিন দুপুর থেকেই বাগনান উলুবেড়িয়ায় কাপড়ের দোকানগুলিতে ছিল ভিড়। সন্ধ্যায় ইফতারের সময়টুকু বিরতি দিয়ে ফের জমে যায় কেনাকাটা। এ দিন কাপড়ের দোকানগুলি খোলা ছিল প্রায় রাত দশটা পর্যন্ত। ফুটপাতের ছোট দোকানগুলিতেও ভিড় ছিল। উলুবেড়িয়ার একটি বড় দোকানের মালিক আসানুল হক মোল্লা বললেন, ‘‘এ বার ইদের কেনাকাটা ভালই। আমরা খুশি।’’ একই কথা জানান উলুবেড়িয়ার ছোট ব্যবসায়ী
রুহুল ইসলাম।

বিগত বছরগুলোর তুলনায় চলতি বছরে ইদে বৈদ্যবাটী, শেওড়াফুলি, ভদ্রেশ্বর ও চাঁপদানি বাজারে অবশ্য ক্রেতার দেখা তেমন মেলেনি বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।চাঁপদানি শিল্পাঞ্চলে রেডিমেড পোশাক বিক্রেতারা জানান, বিক্রিবাটা বিশেষ হয়নি। তবে শেষের দিকে বিক্রির বাড়ার বিষয়ে আশাবাদী তাঁরা। চাঁপদানির স্থানীয় রেডিমেড পোশাক বিক্রেতা সিদ্ধান্ত সাউ বলেন, ‘‘আসলে অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে বেশ। দোকানে কম খদ্দের আসছে। সেই জন্য বেচাকেনা অনেকটাই ভাঁটা পড়েছে। এছাড়াও এখানকার কলকারখানার পরিস্থিতি খারাপ। লোকের হাতে আলে অত টাকা নেই।’’

ইদ উপলক্ষে রবিবার সকাল থেকে পান্ডুয়া, উত্তরপাড়ার বিভিন্ন বাজারে ছিল ভিড়। গৃহপরিচারিকার কাজ করেন মাখলার সাবিনা বিবি। তাঁর কথায়, ‘‘নিজে কাজ করি। তার উপরে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’-এ টাকাও পাই। সেটা জমিয়েই ইদের কেনাকাটা সেরেছি। আর এ বারের অতিরিক্ত পাঁচশো টাকায় ছেলের জন্য জামা কিনেছি।’’

তবে শুধু মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষই নন, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে দেখা গিয়েছে সাধ্য মতো দুঃস্থ মানুষের দানের জন্য কেনাকাটা করতে। খানাকুলের রামনগর অতুল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমিতকুমার আঢ্য-সহ স্কুলের অনেকেই এ বার সংখ্যালঘু দুঃস্থ পরিবারের ছাত্র-ছাত্রীদের ইদের উপহার দিতে নতুন পোশাক কিনে দিয়েছেন। আরামবাগের ব্যবসায়ী মুকুল তরফদারের দাবি, ‘‘ ইদের কেনা-কাটায় জিনিসের দাম বাড়া নিয়ে কারও মাথা ব্যথা নেই। ধনী-গরিব সকলের সারা বছরের উপার্জনের একটা অংশ সরানো থাকে এই উৎসবের জন্য।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Uluberia

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy