এসপ্লানেড থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো চালু হওয়ার পরেও প্রান্তিক স্টেশন হাওড়া ময়দানের ফুটপাতে পথচারীদের নিরাপত্তার জন্য রেলিং দেওয়ার ব্যবস্থা করেনি প্রশাসন। বুধবার দুপুরে একটি বেপরোয়া বাসে পিষ্ট হয়ে হাওড়া আদালতের এক মহিলা মুহুরির মৃত্যুর ঘটনার পরে পুলিশের টনক নড়ল। রাতারাতি ফুটপাত দখল করে থাকা হকারদের হটিয়ে সামনের অংশ ঘিরে দেওয়া হল গার্ডরেল দিয়ে। হাওড়া ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা জানান, এত দিন নানা বাধা থাকায় ফুটপাত রেলিং দিয়ে ঘেরা যায়নি। এ দিনের মৃত্যুর ঘটনার পরে পথচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কড়া হাতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ হাওড়া ময়দান মোড়ে হেঁটে রাস্তা পেরোচ্ছিলেন সুরুচি দে (৫৭) নামে ওই মুহুরি। সেই সময়ে হাওড়া ময়দান থেকে সল্টলেকগামী ৭১ নম্বর রুটের একটি বাস তাঁকে ধাক্কা মেরে তাঁর পায়ের উপর দিয়ে চলে যায়। মহিলার চিৎকারে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা ছুটে এসে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই পরে মৃত্যুর হয় তাঁর। হাসপাতালের চিকিৎসকদের বক্তব্য, ওই প্রৌঢ়া অপুষ্টিতে ভুগছিলেন, শারীরিক ভাবে দুর্বলও ছিলেন। তাই এই আঘাত তিনি সহ্য করতে পারেননি। পুলিশ জানায়, ওই মহিলার বাড়ি নাজিরগঞ্জের হাঁসখালি পোল এলাকায়।
হাওড়া আদালতের ল’ ক্লার্ক অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক উজ্জ্বল নাথ বলেন, ‘‘দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে ছুটে যাই। সুরুচি এ দিন হাওড়া ময়দান এলাকায় ব্যাঙ্কে যাচ্ছিলেন চালানের টাকা তুলতে। অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। আগামী কাল আমরা কালো ব্যাজ পরে কাজ করব।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)