উদ্ধার হওয়া চন্দনকাঠ। নিজস্ব চিত্র
আমের বস্তার আড়ালে লরিতে করে পাচার করা হচ্ছিল বিপুল পরিমাণ চন্দনকাঠ। তা মাঝরাস্তায় আটক করল ডানকুনি থানার পুলিশ। এই ঘটনা ঘটেছে হুগলির ডানকুনির সাঁতরাপাড়ায়। ওই কাণ্ডে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন চন্দননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দারা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ডানকুনির সাঁতরাপাড়ায় একটি লরি আটক করেন পুলিশকর্মীরা। লরিটির উপরে রাখা ছিল আমের বস্তা। সেই বস্তা সরাতেই বার হয়ে আসে চন্দনকাঠ। পুলিশের ধারণা, প্রায় ছয় টন চন্দনকাঠ রয়েছে ওই লরিটিতে। যার বাজারমূল্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘ডানকুনিতে দিল্লি রোডের পাশে একটি গোডাউনে লরি থেকে ওই চন্দনকাঠ নামানো হচ্ছিল। ডানকুনি থানা খবর পেয়ে সেখানে তল্লাশি চালায়। লরি থেকে ৩০০টি রক্তচন্দনের লগ পাওয়া গিয়েছে। ঘটনায় ডেভিড সাউ এবং মর্গ্যান তিউয়ার নামে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দু’জনেই কলকাতার বাসিন্দা। বিষয়টি নিয়ে বন দফতরের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।’’
তদন্তকারীরা নিশ্চিত, পাচারের উদ্দেশ্যেই ওই বিপুল পরিমাণ চন্দন কাঠ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তাঁদের প্রাথমিক অনুমান, ওই কাঠ আনা হচ্ছিল কর্নাটক থেকে। তা কোথায় পাচার করা হচ্ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy