আরামবাগের একটি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ছোট ইলিশ। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ।
ছোট ইলিশ ধরা এবং বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তা সত্ত্বেও হুগলি জেলার বিভিন্ন বাজারে দেদার বিক্রি হচ্ছে ২০০-৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ।
এ খবর জেলা মৎস্য দফতরের অজানা নয়। সচেতন করা ছাড়া তাঁদের কিছু করার নেই জানিয়ে জেলার বিভিন্ন ব্লক মৎস্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ৫০০ গ্রাম ওজনের নীচে ইলিশ ধরা এবং বিক্রি নিষিদ্ধ। দফতর থেকে এ নিয়ে প্রচারও করা হয়। কিন্তু ছোট ইলিশ বিক্রি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। নিয়মিত নজরদারি করার মতো পরিকাঠামোও নেই। ব্লকপিছু একজন করে সম্প্রসারণ আধিকারিক ছাড়া কর্মী নেই। নিয়মিত নদীঘাট, বাজার এবং আড়তগুলিতে নজরদারি বা অভিযান চালালে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো।
দফতরের পরিকাঠামোর ঘাটতির কথা স্বীকার করে জেলা মৎস্য আধিকারিক চিন্ময় চক্রবর্তী বলেন, “হুগলির বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালাচ্ছি। ছোট মাছ বাজেয়াপ্ত করা যায়, কিন্তু তা নিয়ে আমরা কী করব! বিক্রেতাদের সচেতন এবং সতর্ক করা হচ্ছে।”
মৎস্য দফতর সবত্রে জানা গিয়েছে, ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত পূর্ণিমার ৫ দিন আগে ও ৫ দিন পরে ইলিশ মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ওই সময় ইলিশের প্রজনন মরসুম। ইলিশ সমুদ্র থেকে নদীতে এসে ডিম পাড়ে। এ ছাড়া প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত সময়ে ইলিশের যাত্রা চলে। সেই সময়ে তার যাত্রাপথে ছোট ফাঁসের জাল বা থলে জাতীয় কিছু দিয়ে আগল দেওয়া যায় না।
আরামবাগ, চুঁচুড়া, বলাগড় ইত্যাদি আড়তের মাছ ব্যবাসায়ীরা জানিয়েছেন, বর্ষা থেকে পুজোর মরসুম পর্যন্ত ইলিশের চাহিদা থাকে। ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশও বাজারে আসা মাত্র ৪৫০-৫০০ টাকা কেজি দরে হু-হু করে বিক্রি হয়ে যায়। শনিবার আরামবাগ বাজারে ২০০-২৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy