সন্দেশখালি-কাণ্ড নিয়ে রাজ্য সরগরম। অবশেষে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আগে থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগে সরব বিজেপি। এই আবহে আজ, শুক্রবার হুগলির আরামবাগে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লোকসভা ভোটের আগে এ রাজ্যে প্রধানমন্ত্রীর এটিই প্রথম সফর। ফলে তিনি কী বলেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহল এবং জনমানসেও আগ্রহ রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী সভা করবেন আরামবাগের কালীপুর স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মাঠে। এক দিন আগেই গোটা চত্বর কার্যত নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলে এসপিজি-র (স্পেশ্যাল প্রোটেকশন গ্রুপ) আধিকারিকেরা। সভাস্থলের কাছে কার্যত কাউকে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি। মাঠ জুড়ে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য পুলিশের তৎপরতা, হেলিকপ্টারের চক্কর— সব মিলিয়ে বৃহস্পতিবার দিনভর প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে তুমুল প্রশাসনিক ব্যস্ততা চোখে হুগলি জেলার এ তল্লাটে।
প্রধানমন্ত্রীর সভার দু’টি পৃথক মঞ্চের (প্রশাসনিক ও জনসভা) দখল এ দিনই হাতে নিয়েছে এসপিজি। সভার মাঠ-সহ সংলগ্ন প্রায় এক কিলোমিটার ব্যাসার্ধ জুড়ে চলেছে পুলিশি টহল। মঞ্চ-সহ মাঠের প্রায় ১৬ বিঘা এলাকা জুড়ে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। সার্বিক নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে মাঠ জুড়ে তল্লাশি চলে মেটাল ডিটেক্টর ও প্রশিক্ষিত তিনটি পুলিশ-কুকুর নিয়ে।
দু’টি মঞ্চই হচ্ছে মাঠের উত্তর প্রান্তে। প্রশাসনিক সভামঞ্চের সামনে প্রায় ৫০০ জনের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। লাগোয়া মাঠে তিনটি হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে। প্রথমে ঠিক ছিল, প্রধানমন্ত্রী হেলিপ্যাডে নেমে গাড়িতে মাঠের একেবারে দক্ষিণ প্রান্তে যাবেন। সেখান থেকে দশর্কদের মধ্যে দিয়ে হেঁটে মঞ্চে উঠবেন। সেই মতো রাস্তাও তৈরি করা হয়েছিল। এ দিন সেই পরিকল্পনা বাতিল করে একেবারে হেলিপ্যাড থেকে পূর্ব দিকে নতুন রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। সকাল থেকেই দফায় দফায় বায়ুসেনার চপার আকাশে চক্কর মেরেছে। একটি চপার হেলিপ্যাডে নেমে মহড়া দেয়।
এ দিন যাবতীয় ব্যবস্থার তদারকি করেছেন মহকুমাশাসক (আরামবাগ) সুভাষিণী ই। মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য যা যা করা দরকার, এসপিজি-র সঙ্গে কথা বলে সবই করা হচ্ছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)