Advertisement
E-Paper

নেশামুক্তি কেন্দ্রের কর্ণধারকে নোড়া দিয়ে থেঁতলে নেশার ঠেকে! শেষমেশ বেলুড়ে পাকড়াও ‘সাংঘাতিক’ স্বপন

উত্তরপাড়ার একটি নেশামুক্তি কেন্দ্রের কর্ণধার ছিলেন মদন রানা। গত ১২ সেপ্টেম্বর নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, দুই আবাসিক নোড়া দিয়ে মদনের মাথা থেঁতলে দিয়ে পালিয়ে যান।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:৫৪
Hooghly Murder Case

নেশামুক্তি কেন্দ্রের মালিকের মাথা নোড়া দিয়ে থেঁতলে দু’জন পালিয়ে যান উত্তরপাড়া থেকে। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

নেশার আসক্তি থেকে মুক্ত করতে হাওড়ার স্বপন বারুইকে ভর্তি করানো হয়েছিল নেশামুক্তি কেন্দ্রে। সেই নেশামুক্তি কেন্দ্রের কর্ণধারকে মেরে পালিয়েছিলেন তিনি। শেষমেশ মঙ্গলবার রাতে একটি নেশার ঠেক থেকে পাকড়াও ‘সাংঘাতিক’ স্বপন। বস্তুত, হুগলির উত্তরপাড়ায় খুনের ঘটনার ৬ দিনের মধ্যে দুই অভিযুক্তকেই ধরে ফেলেছে পুলিশ।

তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, উত্তরপাড়ার নেশামুক্তি কেন্দ্রের কর্ণধারকে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত স্বপনের বিরুদ্ধে অন্তত ত্রিশটি অপরাধের মামলা রয়েছে বিভিন্ন থানায়। তার মধ্যে একাধিক খুনের অভিযোগ ছিল। এ হেন স্বপনকে নেশামুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি করিয়েছিলেন আত্মীয়েরা। কিন্তু সেখান থেকে তিনি পালাতে চান। তাই নিয়ে নেশামুক্তি কেন্দ্রের কর্ণধারের সঙ্গে ঝগড়া করেন। তার পরেও বাধা পেয়ে এক সঙ্গীকে নিয়ে নেশামুক্তি কেন্দ্রের কর্ণধারের মাথা থেঁতলে খুন করে পালিয়ে গিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, উত্তরপাড়ার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিনগর এলাকার একটি নেশামুক্তি কেন্দ্রের কর্ণধার ছিলেন মদন রানা। গত ১২ সেপ্টেম্বর ভোরে ওই নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, দুই আবাসিক নোড়া দিয়ে মদনের মাথা থেঁতলে দিয়ে পালিয়ে যান। ঘটনার তদন্তে নেমে ১৪ সেপ্টেম্বর সানি মল্লিক নামে এক যুবককে লিলুয়া থেকে পাকড়াও করে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দ্বিতীয় তথা মূল অভিযুক্ত স্বপনের খোঁজ মেলে।

শেষমেশ মঙ্গলবার রাতে বেলুড় থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে স্বপনকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ৪২ বছরের স্বপন হাওড়া জেলায় অনেক অপরাধমূলক কাজে অভিযুক্ত। যার মধ্যে রয়েছে খুন ও খুনের চেষ্টার মতো গুরুতর অপরাধের অভিযোগ। জানা গিয়েছে, উত্তরপাড়ার নেশামুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছিল তাঁকে। সেখানে থাকার সময় নেশামুক্তি কেন্দ্রের কর্ণধার মদনের সঙ্গে বচসা করেন স্বপন। বাড়ি যেতে চান। বাধা দেওয়ায় নোড়া দিয়ে মদনের মাথা থেঁতলে দেন। তার পর নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে এক সঙ্গীকে নিয়ে পালিয়ে যান।

পুলিশ জানিয়েছে, স্বপন যেখানে যেখানে যেতে পারেন, সম্ভাব্য সেই সমস্ত জায়গায় খোঁজ চলছিল। একটি নেশার ঠেকে স্বপনের প্রায়শই যাতায়াত ছিল। নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে পালিয়ে মঙ্গলবার সেখানেই নেশা করতে গিয়েছিলেন তিনি। ধৃতকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে শ্রীরামপুর আদালতে হাজির করানো হচ্ছে বুধবার।

arrest Crime Uttarpara Murder Case
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy