ব্যাঙ্ক জটিলতায় খানাকুলের পঞ্চায়েত। ছবি সংগৃহীত।
এক বছর হয়ে গেল ১০০ দিনের কাজ বন্ধ। গ্রামোন্নয়নের কাজের সবচেয়ে বড় প্রকল্পটি বন্ধ থাকায় তহবিলের জোগানও বন্ধ। বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় পরিকাঠামো উন্নয়নে একমাত্র ভরসা পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের তহবিল। কিন্তু ব্যাঙ্ক আ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত জটিলতায় খানাকুল-১ ব্লকের ঠাকুরানিচক পঞ্চায়েতে সেই তহবিলও মিলছে না।
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে তাদের অ্যাকাউন্ট ছিল, সেই ব্যাঙ্কটি অন্য একটি ব্যাঙ্কের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। ঠিকানা এবং আইএফএসসি কোডও পাল্টেছে। তার পর থেকে সাধারণ গ্রাহকের সমস্যা না হলেও পঞ্চায়েতের অ্যাকাউন্টে টাকাঢুকছে না।
তহবিল সঙ্কটে গ্রামোন্নয়নের সব কাজ বন্ধ বলে জানিয়েছেন প্রধান শীতল মণ্ডল। তাঁর অভিযোগ, “ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ঠিকঠাক হওয়ার পর প্রায় আট মাস হতে চলল। এখনও গত ২০২১-২০২২ অর্থবর্ষের পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা মিলছে না। জেলার বাকি সব পঞ্চায়েত সেই টাকা পেয়ে গিয়েছে। পরের অর্থবর্ষের টাকা পাঠানোর সময় হয়ে গেল। সে জায়গায় আমরা ওই তহবিল না পাওয়ায় কোনও কাজই করতে পারছি না।’’ একইসঙ্গে প্রধানের ক্ষোভ, ব্লক এবং জেলা প্রশাসনের কাছে এ নিয়ে গত সাত মাস ধরে লাগাতার দরবার করেও কিছু হয়নি।
বিডিও শান্তনু চক্রবর্তী বলেন, ‘পঞ্চায়েতটির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সমস্যা আছে। জেলা স্তরে জানানো হয়েছে। জেলা রাজ্য স্তরে জানিয়েছে। এখনও কিছু হয়নি। ওই সমস্যা না মেটা পর্যন্ত তহবিল ঢুকবে না।’’ জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘সমস্যার কথা রাজ্য স্তরে জানানো হয়েছে। সেখান থেকে কেন্দ্রে জানানো হয়েছে। নিয়মিত তদ্বির করা হচ্ছে। আশা করা যায় সমস্যা মিটে যাবে।’’
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১-’২২ অর্থবর্ষের পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের দ্বিতীয় কিস্তিতে সব মিলিয়ে প্রায় ৪৪ লক্ষ টাকা পাওয়ার কথা। সেই তহবিলের অভাবে বন্যা মোকাবিলায় কাছড়া গ্রাম সংলগ্ন গুরুত্বপূর্ণ নিকাশি নালা সংস্কার হচ্ছে না। বন্ধ রাখতে হয়েছে গত বন্যায় ভেঙে যাওয়া ২০টি রাস্তা এবং চারটি কালভার্ট নির্মাণের কাজ। এ ছাড়াও পঞ্চায়েত এলাকায় বিভিন্ন গ্রামে পানীয় জলের জলের চাতাল-সহ যাবতীয় পরিকাঠামো উন্নয়নেরকাজ বন্ধ।
গ্রামোন্নয়নের কাজ বন্ধ থাকায় গ্রামবাসীদের ক্ষোভ বাড়ছে। তাঁরা একাধিকবার পঞ্চায়েত এবং ব্লক প্রশাসনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। ঠিকাদাররা কাজ করে টাকা পাচ্ছেন না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy