Advertisement
E-Paper

জেটির জন্য তোলা তুলছে বালি ব্যবসায়ী, নালিশ ইজারাদারের

চুঁচুড়ার তামলিপাড়া ঘাটের ও পাড়ে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বৈষ্ণব ঘাট। প্রতিদিন দুই ঘাট দিয়ে বহু মানুষের যাতায়াত রয়েছে। তিন বছর অন্তর দুই জেটির দায়িত্ব বদল করে দু’জেলার পুরসভা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৩ ০৬:৫২
চুঁচুড়া পুরসভায় অভিযোগ জানানো হয়েছে।

চুঁচুড়া পুরসভায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। — ফাইল চিত্র।

ইজারার টাকা চুঁচুড়া পুরসভাকে দেওয়ার পরও জেটির জন্য আলাদা ভাড়া দিতে হচ্ছে এক বালি ব্যবসায়ীকে। এমনই অভিযোগ চুঁচুড়ার তামলিপাড়া ফেরি ঘাটের ইজারাদার বিজয় কাহারের। বিষয়টিকে ‘তোলা’ হিসেবেই দেখছেন তিনি। এ বিষয়ে পুরপ্রধান ও সদর মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন বিজয়।

পুরপ্রধান অমিত রায় বলেন, ‘‘আমরা ইজারা দিয়েছি। ইজারা বাবদ পুরসভা টাকা পাচ্ছে। তবে জেটির জন্য কে, কাকে, কেন ভাড়া দেবে জানি না। এ বিষয়ে সদর মহকুমাশাসককে জানিয়েছি।’’ সদর মহকুমাশাসক সৈকত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ইজারা দেওয়ার পর জেটির জন্য আলাদা ভাড়া হওয়ার কথা নয়। অভিযোগ পেয়েছি। এ ক্ষেত্রে ঠিক কী হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

চুঁচুড়ার তামলিপাড়া ঘাটের ও পাড়ে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বৈষ্ণব ঘাট। প্রতিদিন দুই ঘাট দিয়ে বহু মানুষের যাতায়াত রয়েছে। তিন বছর অন্তর দুই জেটির দায়িত্ব বদল করে দু’জেলার পুরসভা। গত বছরের অগস্ট মাস থেকে চুঁচুড়া পুরসভার তরফে তিন বছরের জন্য তামলিপাড়া গঙ্গা ফেরি পরিষেবার ইজারা পান উত্তরপাড়া-কোতরং-এর বাসিন্দা সুদীপ্ত দে। ‘পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি’-র মাধ্যমে সুদীপ্তর কাছ থেকে সেই ঘাটের দায়িত্ব পান চুঁচুড়ার বাসিন্দা বিজয় কাহার। প্রথম থেকে মাসিক আড়াই লক্ষ টাকার বিনিময়ে ঘাট চালাচ্ছেন বিজয়।

এই রসিদের টাকা নিয়েই বিতর্ক।

এই রসিদের টাকা নিয়েই বিতর্ক।

বিজয়ের অভিযোগ, ‘‘প্রথম থেকে মনোজ দাস নামে বৈষ্ণবঘাটের ওই বালি ব্যবসায়ী প্রতি মাসে জেটি ভাড়া বাবদ ষাট হাজার টাকা করে নিচ্ছেন। উনি দাবি করছেন, ওটা তাঁর প্রাপ্য। কিন্তু পুরসভার চুক্তিতে সেটা উল্লেখ নেই। আমি দিতে না চাইলে জোর করা হয়। এটাকে তোলা ছাড়া কী বলব?’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘প্রথমে আমি টাকা দিতে চাইনি। কিন্তু আমাকে জেটি খুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। তাই টাকা দিতে বাধ্য হই। এত লোকসান করে ঘাট চালাতে আর পারছি না।’’

অভিযোগ উড়িয়ে মনোজের দাবি, ‘‘ভয় দেখিয়ে টাকা নেব কেন? বিজয় মাসিক ৩০ হাজার টাকা করে দু’টি জেটি আমার কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছেন। টাকা নেওয়ার রসিদও দিয়েছি।’’ কিন্তু দু’দিকের ঘাটের দেখভালের দায়িত্ব তো পুরসভা দু’টির। টেন্ডারও তারাই করে।সেখানে আপনার কী কাজ?পাওনা-ই বা কী করে হয়? জবাব দিতে পারেননি মনোজ।

Chinsurah Chinsurah Municipality Jetty
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy