যন্ত্র ব্যবহার করে দ্বারকেশ্বর নদ থেকে বেআইনি ভাবে বালি তোলার অভিযোগে ওই কাজ আটকে দিলেন স্থানীয় মানুষ। ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার সকালে, আরামবাগের বড় ডোঙ্গল সংলগ্ন তেমোহনী চরে। খবর পেয়ে ব্লক ভূমি দফতরের লোকজন এবং পুলিশ গিয়ে তিনটি ট্রাক্টর আটক করেন। দু’টি ট্রাক্টর বালিবোঝাই ছিল। ট্রাক্টর চালকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে তাঁরা জানান। ব্লক ভূমি দফতরের আধিকারিক শুভাশিস রায় বলেন, ‘‘আইনগত পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’
প্রতিবাদী গ্রামবাসীদের তরফে বিভাস মালিক, মৃণাল আধিকারী প্রমুখের অভিযোগ, নদের উল্টো দিকে খানাকুলের কিশোরপুরের দু’টি পঞ্চায়েত এলাকা থেকে কয়েক দিন ধরেই বিক্ষিপ্ত ভাবে বালি চুরি হচ্ছিল। এ দিন ফের চুরি হতে দেখে গ্রামবাসীরা এককাট্টা হয়ে প্রতিবাদ করেন। ট্রাক্টর চালকেরা বালি তোলা সংক্রান্ত কোনও বৈধ কাগজ দেখাতে পারেননি। এর পরেই পুলিশ এবং ভূমি দফতরে অভিযোগ জানানো হয়। নদ-নদীর নজরদারিতে ভূমি দফতর এবং পুলিশের যথাযথ নজর নেই বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
অভিযোগ অস্বীকার করে আরামবাগ মহকুমা ভূমি দফতরের এক আধিকারিকের দাবি, ‘‘প্রয়োজনের তুলনায় লোকবল কম থাকা সত্ত্বেও বালি চুরি আটকাতে সারা বছর আমাদের অভিযান চলতেই থাকে। এখন স্থানীয় মানুষের সহযোগিতাও পাওয়া যাচ্ছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)