৫০ টাকার কাটাপোনা, ৫০ টাকার কই মাছ কিনেছেন বাজার ঘুরে। দুই দোকানেই ৫০০ টাকার নোট ধরিয়েছিলেন। ফেরত টাকা নিয়ে সব্জির দোকানে যান। সেখানেও অল্প টাকার বাজার করে ধরিয়ে দেন ৫০০ টাকার কড়কড়ে নোট। তার পর মুদির দোকান। সেখানেও একই কাজ।
কিন্তু বৃদ্ধ দোকানদার নোট হাত নিয়ে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দেখেছিলেন। তাতে অধৈর্য হয়ে পড়েন দুই ক্রেতা। তাড়া দেন। তাতে অবশ্য আমল দেননি দোকানদার। তিনি তত ক্ষণে আশপাশের দোকানদারদের ডেকে এনেছেন। অন্যদের কাছ থেকে ৫০০ টাকার নোট নিয়ে মেলাতেই ধরা পড়ল দুই খরিদ্দারের কীর্তি। বাজারে জালনোট ছড়ানোর অভিযোগে পুলিশের হাতে আটক হলেন তাঁদের এক জন। রবিবার হুগলির উত্তরপাড়ার কোতরং-২ বাজারের ঘটনা। অভিযোগ, মাছ, সব্জি ইত্যাদি কিনে বাজারে ৫০০ টাকার জালনোট ছড়িয়ে দিচ্ছিলেন অভিযুক্ত। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে ওই বাজারে।
রবিবার ছুটির দিন। বাজারে ক্রমশ ভিড় বাড়ছিল। অভিযোগ, সেই সুযোগে অল্প জিনিসপত্র কিনতে কিনতে বাজারে জালনোট ছড়াচ্ছিলেন যুবক ও তাঁর সঙ্গী। তাঁর কাছে কালো রঙের ব্যাগ ছিল। সেখান থেকে আরও সাতটি ৫০০ টাকার জালনোট মিলেছে বলে স্থানীয়দের দাবি। পুলিশ ডেকে ওই অভিযুক্তকে ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন:
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, ভিড়বাজারে দুই ক্রেতা মাছ এবং সব্জি কিনছিলেন। তাঁরা যে দোকানেই জিনিস কিনেছেন, পাঁচশো টাকার নোট দিয়েছেন। এক ব্যবসায়ীর নোট দেখে সন্দেহ হয়। আসল পাঁচশো টাকার নোটের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতেই পরিষ্কার হয়ে যায় আসল-নকল। গোলমাল শুরু হতেই দুই ক্রেতার এক জন সরে পড়েন। দ্বিতীয় জনকে ঘিরে ধরেন ব্যবসায়ীরা। ডাকা হয় উত্তরপাড়া থানার পুলিশকে।
ঘটনাক্রমে আটক হন অভিযুক্ত। দুলাল দাস নামে এক মাছ ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘মুখ দেখে তো বোঝার উপায় নেই। আগে দু’জনকে এই বাজারে দেখিনি। ঘিরে ধরতে লোকটি বললেন, তিনি কেষ্টপুরের বাসিন্দা। এখন ৫০ টাকার মাছ কিনে যদি ৫০০ টাকার জালনোট ছড়ান এঁরা, আমরা গরিব দোকানদারেরা কোথায় যাব?’’ একই কথা জানিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর সন্দীপ দাস। তিনি বলেন, ‘‘গন্ডগোলের সময়ে আমাকে স্থানীয়েরা ডাকেন। আমি পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তকে ধরে নিয়ে যায়।’’
কোথা থেকে অভিযুক্ত নকল টাকা পেলেন, কোনও চক্রের সঙ্গে তিনি জড়িত কি না, সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।