Advertisement
E-Paper

আপাতত সপ্তাহে ৩ দিন ডিম-ফলে জোর হুগলিতে

বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, লিখিত কোনও নির্দেশ না এলেও ব্লক এবং জেলা প্রশাসনের কথামতোই এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে।

পীযূষ নন্দী

শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ ০৭:৩২
পড়ুয়াদের সপ্তাহে ৩ দিন ডিম দেওয়া শুরু হয়েছে।

পড়ুয়াদের সপ্তাহে ৩ দিন ডিম দেওয়া শুরু হয়েছে। — ফাইল চিত্র।

মিড-ডে মিলে বাড়তি পুষ্টির লক্ষ্যে চার মাস ধরে পড়ুয়াপিছু সপ্তাহে বাড়তি ২০ টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। ওই টাকায় ডিম, মুরগির মাংস এবং মরসুমি ফল দেওয়ার কথা। হুগলিতে মাংসের বদলে সপ্তাহে তিন দিন ডিম এবং ফল দেওয়া শুরু করেছে স্কুলগুলি।

বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, লিখিত কোনও নির্দেশ না এলেও ব্লক এবং জেলা প্রশাসনের কথামতোই এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। তাতে স্কুলে পড়ুয়াদের হাজিরা ৫-১০ শতাংশ বাড়ছে। জেলার মিড-ডে মিল ওসি নীলিমা সামন্ত বলেন, “মাংস বন্ধ করতে বলা হয়নি। তবে, আপাতত সপ্তাহে ফল ও ডিমের উপর বেশি জোর দিয়েছি। কারণ, বরাদ্দ বাড়ায় ফল ও ডিম সপ্তাহে তিন দিন দেওয়া যাচ্ছে। মাংস দিলে সপ্তাহে একদিনেই ২০ টাকা শেষ হয়ে যাবে।”

জেলা শিক্ষা দফতরের মিড-ডে মিল বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্দেশমতো হুগলিতেও ৯ জানুয়ারি থেকে মিড-ডে মিলের খাদ্য-তালিকা পাল্টানো হয়েছে। অতিরিক্ত পুষ্টি সরবরাহের ব্যবস্থাপনায় স্কুলগুলির শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকেরা খুশি।

আরামবাগের তেলুয়া শিক্ষাসদনের প্রধান শিক্ষক কুন্তল ঘোষাল জানান, গত অক্টোবর মাস থেকে প্রাথমিকে মিড-ডে মিলে বরাদ্দ বেড়ে হয় মাত্র ৫ টাকা ৪৫ পয়সা। কিন্তু তাতেও রান্নার গ্যাস, আনাজ, আলু, তেল, মশলাপাতির দাম সামলে পড়ুয়াদের প্রতিদিন পুষ্টিকর খাবার তো দূর, সপ্তাহে কোনওমতে এক দিন গোটা বা অর্ধেক ডিম দেওয়া যাচ্ছিল। এখন বাড়তি টাকায় সপ্তাহে তিন দিন ডিম ও ফল দেওয়া যাচ্ছে। তাঁর মতে, “এটা মাস চারের জন্য ২০ টাকা না করে মিড ডে মিলের বরাদ্দ বাড়িয়ে অন্তত ৯ টাকা করা হলে সারা বছর পুষ্টি সরবরাহের সম্ভব হয়।”

Mid Day Meal Arambagh
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy