E-Paper

হাওড়ায় ভোটের দিন অব্যাহতি মহিলা কর্মীদের, থাকবেন গণনায়

হাওড়ায় বিভিন্ন সরকারি দফতর ও স্কুল থেকে মহিলাদের নির্বাচনের দিন ভোটকর্মী হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। যা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল একাধিক বিরোধী রাজনৈতিক দল ও শিক্ষক সংগঠন।

শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৩ ০৭:২০
Vote Workers

—প্রতীকী ছবি। Sourced by the ABP

পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন হাওড়ায় কোনও মহিলা ভোটকর্মী থাকবেন না। তাই তাঁদের কোনও প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে না। হাওড়ার সমস্ত ব্লকে যে সব মহিলা কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা ছিল, তাঁদের ফোন করে বা ইমেল পাঠিয়ে এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার হাওড়া জেলা প্রশাসনের এক কর্তা এ খবর দিয়ে জানান, যথেষ্ট বেশি সংখ্যক পুরুষ ভোটকর্মী ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে। তাই মহিলাদের অব্যাহতি দেওয়া হল। তবে, গণনার দিন মহিলা কর্মীদের প্রয়োজন। তাই সে দিন তাঁদের কাজে লাগানো হবে। এর জন্য আজ, মঙ্গলবার থেকেই তাঁদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হবে।

হাওড়ায় বিভিন্ন সরকারি দফতর ও স্কুল থেকে মহিলাদের নির্বাচনের দিন ভোটকর্মী হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। যা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল একাধিক বিরোধী রাজনৈতিক দল ও শিক্ষক সংগঠন। বিশেষ করে, হাওড়ায় শিক্ষিকাদের চতুর্থ স্তরের ভোটকর্মী হিসাবে নিযুক্ত করার তীব্র বিরোধিতা করেছিল বিজেপির শিক্ষক সেল। তাদের তরফে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়ে বলা হয়েছিল, শিক্ষিকাদের চতুর্থ স্তরের ভোটকর্মী হিসাবে নিযুক্ত করার অর্থ, তাঁদের পদের অমর্যাদা করা। অবিলম্বে অন্যান্য জেলার মতো হাওড়াতেও নির্বাচনের দিন মহিলা ভোটকর্মী নিয়োগ বন্ধ করা হোক।

এর পরে রবিবারই জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয়, ২০১৮ সালের মতো এ বার আর পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন মহিলা ভোটকর্মী নিয়োগ করা হবে না। তবে, গণনার দিন তাঁদের গণনাকর্মী হিসাবে থাকতে হবে। এই সিদ্ধান্ত কি তা হলে বিরোধী দল ও সংগঠনগুলির চাপেই নিতে হল? এ প্রশ্নের উত্তরে হাওড়া জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘একেবারেই না। কোনও আন্দোলন বা বিক্ষোভের কথা শুনিনি। আসলে আমরা পর্যাপ্ত সংখ্যক পুরুষ কর্মী পেয়ে গিয়েছি চতুর্থ স্তরের ভোটকর্মী হিসাবে। প্রয়োজনের তুলনায় সংখ্যাটা অনেকটাই বেশি। তাই মহিলাদের এ বার অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’’ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পঞ্চায়েত ভোটের দিনই প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ২৫ জন করে মহিলা ভোটকর্মী নেওয়া হয়েছিল। এ বার তার ব্যক্তিক্রম ঘটল।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম, দ্বিতীয় ও চতুর্থ পোলিং অফিসারের জন্য যেখানে ৩০৩১ জনকে প্রয়োজন, সেখানে ৩৫০০ জনেরও বেশি রয়েছেন। তবে, তৃতীয় পোলিং অফিসারের সংখ্যা কিছুটা কম রয়েছে। এ জন্য আজ, মঙ্গলবার রেল ও ডাকঘর থেকে কিছু ভোটকর্মী নেওয়া হবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

WB Panchayat Election 2023 Howrah

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy