নিত্যদিন অশান্তি বাড়িতে। ছেলে মদ খেয়ে এসে ঝগড়া করেন। মায়ের গায়ে হাত তুলতেও ছাড়েননি। অভিযোগ, দিনের পর দিন এই অত্যাচার সহ্য হয়নি ৭২ বছরের বৃদ্ধার। সোমবার সন্ধ্যায় গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে নেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে আটক করা হয়েছে পুত্রকে। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার বাঁকড়ায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম অমল দাস। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, তিনি শঙ্করী দাসের জ্যেষ্ঠপুত্র। প্রায় প্রতিদিন আকণ্ঠ পান করে বাড়িতে ঢুকে অশান্তি পাকান অমল। মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করেন। এমনকি, বৃদ্ধা মায়ের গায়েও হাত তোলেন।
কিছু দিন আগে মেয়েকে পৈতৃক সম্পতির একটি অংশ লিখে দিয়েছিলেন শঙ্করী। তার পর থেকে অশান্তি চরমে ওঠে। মা ও ছেলের খটাখটি লেগে থাকত দিনভর। দিনের পর দিন এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন শঙ্করী।
আরও পড়ুন:
সোমবার সন্ধ্যায় শঙ্করী গায়ে আগুন দেওয়ার পর বাড়ির অন্যান্য সদস্য চিৎকার-চেঁচামেচি করেন। প্রতিবেশীদের সাহায্য নিয়ে কোনও ক্রমে আগুন নেবানো যায়। তবে তত ক্ষণে শরীরের অনেকাংশ পুড়ে গিয়েছে বৃদ্ধার। ওই খবর যায় বাঁকড়া থানায়। পুলিশ গিয়ে অগ্নিদগ্ধ বৃদ্ধাকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে। এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বৃদ্ধা।
আরও পড়ুন:
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বৃদ্ধা। তাঁর পুত্রকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।