সম্বুদ্ধ দত্ত। — নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গোলমালে বুধবার উত্তেজনা ছড়িয়েছিল চন্দননগর কলেজে। ওই ঘটনায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন জেলা সভাপতি সম্বুদ্ধ দত্তকে আটক করা হয়েছিল। বুধবার রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে মারপিট, খুনের চেষ্টা-সহ নানা ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ ছাড়া গ্রেফতার করা হয়েছে অলীক সামন্ত এবং অর্ণব ঘোষ নামে দু’জনকে।বৃহস্পতিবার চন্দননগর আদালতে হাজির করানো হয় ধৃতদের। ৩ জনেরই ৭ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
গত ২০ মার্চ সম্বুদ্ধকে সরিয়ে হুগলি-শ্রীরামপুর জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি করা হয়েছে উত্তরপাড়ার বাসিন্দা শুভদীপ মুখোপাধ্যায়কে। তাঁদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্বের আবহ তৈরি হয়েছে চন্দননগর কলেজে। কিছু দিন পরে চন্দননগর কলেজে বার্ষিক অনুষ্ঠান রয়েছে। ওই অনুষ্ঠানের দায়িত্ব কারা নেবে তা নিয়ে টিএমসিপির ওই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছিল। বুধবার সম্বুদ্ধর গোষ্ঠীর ছাত্র-ছাত্রীরা মিছিল করে চন্দননগর থানায় স্মারকলিপি জমা দেন। এর পর তাঁরা কলেজের সামনে ফিরে আসতেই দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট হয় বলে অভিযোগ। তাতে জখম হন কয়েক জন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কয়েক জনকে আটক করে। রাতে সম্বুদ্ধ-সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় সম্বুদ্ধ অভিযোগ করেন, বহিরাগতদের দিয়ে কলেজে অশান্তি পাকানো হচ্ছে। তবে সংগঠনের নতুন জেলা সভাপতি শুভদীপ জানিয়েছেন, সংঘর্ষের ঘটনার পর পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে। ওই সংঘর্ষে আহত এক পড়ুয়া ভর্তি রয়েছেন বেসরকারি হাসপাতালে। চন্দননগর পুলিশের ডিসি ভিদিত রাজ বুন্দেশ বলেন, ‘‘কলেজের বাইরে অশান্তি হয়েছে। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
বিষয়টি নিয়ে চন্দননগর মেয়র রাম চক্রবর্তী বলেন, ‘‘গতকাল চন্দননগর কলেজে একটি ঘটনা ঘটেছে। আমার মনে হয়, তা ঠিক হয়নি। দলের উচ্চনেতৃত্ব বিষয়টি জানে। তাঁরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। সম্প্রতি দলের নেতৃত্বে রদবদল হয়েছে সেটা নিয়ে হয়তো ক্ষোভ থাকতে পারে। তবে ওই ঘটনা ঘটা উচিত হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy