অভিযোগ দায়ের হয়েছে পুলিশে নিজস্ব চিত্র।
ভাঙা হাত প্লাস্টার করার আগে অজ্ঞান করার ইঞ্জেকশন দিয়েছিলেন চিকিৎসক। সেই ইঞ্জেকশনের ফলে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠল হুগলির কোন্নগরে। জ্ঞান না ফেরায় তাড়াতাড়ি অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত উত্তরপাড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
কোন্নগরের বাসিন্দা পুতুল সাহা (৪০) বৃহস্পতিবার সকালে বাড়িতে পা পিছলে পড়ে যান। তাঁর বাঁ হাতের কব্জিতে চোট লাগে। বাড়িতেই বরফ দেওয়ার পর স্থানীয় চিকিৎসক সুমিত মিত্রর কাছে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তিনি ব্যথা কমানোর ওষুধ দেন ও এক্স-রে করতে বলেন। এক্স-রে দেখে চিকিৎসক বলেন সন্ধ্যায় হাতে প্লাস্টার করা হবে।
পুতুলের মেয়ে সুস্মিতা জানিয়েছেন, সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ তাঁকে নিয়ে চিকিৎসকের চেম্বারে যান তাঁরা। চিকিৎসকের নির্দেশ মতো খালি পেটেই ছিলেন পুতুল। সুমিত তাঁদের বলেন, হাত প্লাস্টার করার আগে ইঞ্জেকশন দিয়ে অজ্ঞান করতে হবে। সেই মতো অজ্ঞান করে হাত প্লাস্টার করার পরে অনেকক্ষণ পুতুলের জ্ঞান ফেরেনি। তার পরে অ্যাম্বুল্যান্সে করে কোন্নগরের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় পুতুলকে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনার পরে চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে মৃতার পরিবারের লোকজন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। খবর পেয়ে সেখানে যায় উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছে মৃতার পরিবার। কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে তারা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy