Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Daily Passenger

ডানলপে মুখ্যমন্ত্রী, পথে বাড়ল দুর্ভোগ

জেলা তৃণমূলের এক শীর্ষনেতা মানছেন, এ দিন তাঁদের লড়াইটা ছিল প্রধানমন্ত্রীর সভার চেয়ে বেশি ভিড় টানার।

দিল্লি রোডের চাকুন্দিতে বাসের অপেক্ষায় যাত্রীরা । কামারপুকুর চটিতে হাতেগোনা বাস, ঝুঁকি নিয়ে যাত্রা।

দিল্লি রোডের চাকুন্দিতে বাসের অপেক্ষায় যাত্রীরা । কামারপুকুর চটিতে হাতেগোনা বাস, ঝুঁকি নিয়ে যাত্রা। ছবি: দীপঙ্কর দে ও সঞ্জীব ঘোষ

নিজস্ব সংবাদদাতা
চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৬:৩৭
Share: Save:

ছবিটা বদলাল না। বরং দুর্ভোগ বাড়ল।


ডানলপে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভার জন্য গত সোমবার পথে বেরিয়ে নাজেহাল হয়েছিলেন হুগলির নানা প্রান্তের মানুষ। বাস-ট্রেকারে করে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা সভায় গিয়েছিলেন। ফলে, গন্তব্যে পৌঁছতে বাড়তি গ্যাঁটের কড়ি খসাতে হয়েছিল সাধারণ মানুষ। তার ৪৮ ঘণ্টা পরে, বুধবার একই জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার জন্য একই কারণে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়ল। রাস্তায় অটো-টোটো বা ভাড়ার গাড়িরও দেখা মিলেছে কম।


আরামবাগের বাতানলের বাসিন্দা শেখ মৈনুদ্দিন অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বাস পাননি। পান্ডুয়ার তিন্নার বাসিন্দা পরিমল গোলদার কর্মস্থলে যেতে হিমসিম খান। দূরপাল্লার বাসমালিক সংগঠনের (হুগলি ইন্টার রিজিয়ন) সম্পাদক গৌতম ধোলে বলেন, ‘‘সোমবার বিভিন্ন দূরপাল্লা রুটের ৬০ শতাংশ বাস তুলে নেওয়া হয়েছিল। বুধবার ৮০ শতাংশেরও বেশি বাস তুলে নেওয়া হয়। ফলে, পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়নি।”


জেলা তৃণমূলের এক শীর্ষনেতা মানছেন, এ দিন তাঁদের লড়াইটা ছিল প্রধানমন্ত্রীর সভার চেয়ে বেশি ভিড় টানার। তিনি বলেন, ‘‘শুধু জেলার সব রুটের বেশিরভাগ বাসই নয়, কাছাকাছি এলাকা থেকে আসা ট্রেকার, অটো, টোটোও তুলে নেওয়া হয়।’’ তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, বুথস্তর পর্যন্ত নেতাদের মাথাপিছু সভায় নিয়ে যাওয়ার জন্য লোকসংখ্যা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।


গত সোমবার যদিবা কিছু বাস ও ভাড়ার গাড়ি পরিবহণ ব্যবস্থা সামাল দিয়েছিল, বুধবার সবই প্রায় তুলে নেওয়া হয়। ‘নো-এন্ট্রি’র দাপটে রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা ছিল। কিছু মিনি এবং ট্রেকার চলেছে। এ দিন জেলার বহু বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির প্রি-বোর্ডের পরীক্ষা ছিল। ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ভুগতে হয়েছে।


শেখ মইনুদ্দিনের ক্ষোভ, ‘‘স্ত্রীকে নিয়ে গ্রাম থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরের আরামবাগ হাসপাতালে আসতে ৪০০ টাকা গাড়ি ভাড়া দিতে হল। একই পথে ফিরতেও হবে।” তিন্নার পরিমল বলেন, ‘‘সকাল ১০টা থেকে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে একটি অটোও পাইনি পান্ডুয়া স্টেশনে যাওয়ার জন্য। ৪০ মিনিট পরে এক পরিচিতের মোটরবাইকে পৌঁছই।’’


ব্যান্ডেল, চুঁচুড়া, শ্রীরামপুর এবং চন্দননগরের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলিতে এ দিন সকালে টোটো-অটোর তেমন দেখা মেলেনি। ভোগান্তির আশঙ্কায় অনেকে অফিসমুখো হননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mamata Banerjee Daily Passenger Transport Service
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE