Advertisement
E-Paper

পুলিশ-প্রশাসনের দখলমুক্তি অভিযান চন্দননগরে, ভাঙা পড়ল তৃণমূলের কার্যালয়ও

চন্দননগর উর্দি বাজার এলাকায় রাস্তার দু’ধারের ফুটপাথ দখল করে যে সব দোকান ছিল, তা সরিয়ে ফেলার জন্য পুরসভার তরফে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। তার পরই সোমবার অভিযান চলা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২৪ ১৬:৩৩
Police and corporation start evacuation in Chandannagar

চন্দননগরে দখলমুক্তি অভিযান। — নিজস্ব চিত্র।

পুলিশ এবং পুরসভার দখলমুক্তি অভিযানে ভাঙা পড়ল তৃণমূলের কার্যালয়। একই সঙ্গে রাস্তার দুই ধারে বেআইনি ভাবে দখল করে থাকা অস্থায়ী নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হল। তবে বড় বড় দোকান ফুটপাথ দখল করে থাকলেও তা ভাঙা হল না কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ব্যবসায়ীদের একাংশ।

সোমবার চন্দননগর উর্দি বাজার এলাকায় যৌথ ভাবে দখলমুক্তি অভিযানে নামে পুলিশ এবং পুরসভা। সূত্রের খবর, ওই বাজার এলাকায় রাস্তার দু’ধারের ফুটপাথ দখল করে যে সব দোকান ছিল, তা সরিয়ে ফেলার জন্য পুরসভার তরফে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। তার পরই সোমবার অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানে অনেক দোকান যেমন ভাঙা পড়েছে, তেমন তৃণমূলের একটি কার্যালয়ও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

চন্দননগর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যেই পড়ে উর্দিবাজার। লক্ষ্মীগঞ্জ বাজার থেকে চন্দননগর বাসস্ট্যান্ড রোড পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তাতেই পড়ে এই এলাকা। অভিযোগ, রাস্তার দুই পাশের ফুটপাথ দখল হয়েছিল। রাজ্য জুড়ে ‘বেআইনি দখল’ মুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরই চন্দননগর পুরসভা দখলমুক্তি অভিযান নিয়ে বৈঠকে বসে। কোথায় কোথায় ফুটপাথ দখল হয়ে আছে, তার সমীক্ষাও করা হয়। তার পরই দখল করে থাকা জায়গা খালি করার নির্দেশ দেওয়া দেয় পুরসভা।

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বড় বড় যে দোকানগুলোও ফুটপাথ দখল করে আছে, সেগুলো সরানো হয়নি। সিআইটিইউ-এর পক্ষ থেকে পুনর্বাসনের দাবি জানানো হয়েছে। সিআইটিইউ হুগলি জেলা ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য তথা চন্দননগর হকার ইউনিয়নের সহ-সভাপতি গোপাল শুক্ল বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর মনে হয়েছে তিনি ঘোষণা করেছেন। এটা খামখেয়ালি কাজ। তার পর থেকেই উচ্ছেদের কাজ শুরু হয়েছে। আমাদের দেশের আইন আছে। সেই আইন বলে, পুনর্বাসন ছাড়া কোনও উচ্ছেদ হবে না। এটা ঠিক, যাঁরা এখানে ব্যবসা করছেন, তাঁরা রাস্তার কিছুটা অংশ জুড়ে রয়েছে। কিন্তু দশকের পর দশক ধরে তাঁরা এখানে ব্যবসা করছেন। এখান থেকে তাঁদের রুজিরুটি চলে, সংসার চলে। আমরা দাবি করছি, পুনর্বাসন এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।’’

সোমবারের অভিযান প্রসঙ্গে চন্দননগর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তথা দু’নম্বর বরোর চেয়ারম্যান মহম্মদ সামাদ আলি বলেন, ‘‘দিদির নির্দেশ পাওয়ার পর আমরা ফুটপাথ দখল মুক্ত করতে নেমেছি। আমাদের একটি পার্টি অফিস ছিল, সেটাকেও আমরা ভেঙে সরিয়ে দিয়েছি। অনেক দোকান আছে, তাদের সামনের অংশ ফুটপাথের উপর চলে এসেছিল। সেগুলো মূলত সরানো হয়েছে।’’

West Bengal Encroachers Eviction Chandannagar TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy