Advertisement
১৩ অক্টোবর ২০২৪
POCSO Case

হুগলিতে কোচিং থেকে ফেরার পথে কিশোরীকে ‘অপহরণ’! পরে অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্তের হাতে শ্লীলতাহানির অভিযোগ

শুক্রবার রাতে হুগলি জেলায় এক হিমঘরের কাছে অচেতন অবস্থায় এক কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

—প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
হুগলি শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:৫৩
Share: Save:

কোচিং থেকে ফেরার পথে চার চাকার একটি গাড়িতে তুলে কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ। পরে ১৫ বছরের ওই কিশোরীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলায়। হুগলি গ্রামীণ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রাত প্রায় ৮টা ২০ মিনিট নাগাদ তারা খবর পায়, একটি হিমঘরের বিপরীতে অচেতন অবস্থায় কিশোরী পড়ে রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় ও পকসো আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, হাসপাতালে চিকিৎসার সময়ে কিশোরী জানিয়েছে, শুক্রবার স্কুল শেষের পর গৃহশিক্ষকের কোচিংয়ে গিয়েছিল সে। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে একদল অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্ত একটি সাদা রঙের চার চাকার গাড়িতে বলপূর্বক তুলে নিয়ে যায় কিশোরীকে। বিষয়টি জানাজানি হলে ছাত্রীর মায়ের ক্ষতি করবে বলেও হুমকি দিয়েছিল বলে অভিযোগ। এর পরে কিশোরীকে একটি এলাকায় নামিয়ে দেয় এবং হেঁটে যেতে বলে। ওই পথ দিয়ে কিশোরী হাঁটতে শুরু করতেই কিছু ক্ষণ পর সে টের পায়, এক অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্ত তার পিছু নিয়েছে। অভিযোগ, ওই দুর্বৃত্তই একটি অন্ধকার জায়গায় কিশোরীর শ্লীলতাহানি ও যৌন হেনস্থা করে। ঘটনায় ভয় পেয়ে কিশোরী চিৎকার শুরু করলে অভিযুক্তেরা সেখান থেকে গাড়িতে চেপে পালিয়ে যায়।

হুগলি গ্রামীণ পুলিশ জেলার সুপার কামনাশিস সেন বলেছেন, “নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে একজন মহিলা পুলিশকর্মী নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করেছেন। ইতিমধ্যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতিতার প্রাথমিক শারীরিক পরীক্ষাও হয়েছে। পরে শারীরিক পরীক্ষার জন্য অভিভাবকদের সঙ্গে চন্দননগরে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। মহিলা অফিসারই তদন্ত করছেন।” পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, এই ঘটনায় অভিযোগপত্র বা নির্যাতিতার বয়ানেও ধর্ষণের কোনও অভিযোগ এখনও পর্যন্ত নেই। তবে শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে। ঘটনায় কত জন দুর্বৃত্ত জড়িত ছিল, তদন্তের খাতিরে এখনও সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি।

ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার সকালে স্থানীয় থানায় বিক্ষোভ দেখান বাম ছাত্র, যুব ও মহিলা সংগঠনের সদস্যেরা। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান তাঁরা। পরিস্থিতি সামলাতে থানার বাইরের লোহার গেট বন্ধ করে দেওয়া হলে, সেখানে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা।

অন্য বিষয়গুলি:

Hooghly POCSO Act Crime Against Women
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE