মৃত্যু মা ও শিশুকন্যার। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে বাবা। বুধবার সকালে এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য হুগলির উত্তরপাড়ায়। এলাকার একটি বাড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তিন জনকে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মহিলা এবং শিশুকন্যাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন পরিবারের কর্তা কাশীনাথ চট্টোপাধ্যায়ের। খুন না আত্মহত্যা— জানতে তদন্তে নেমেছে চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপাড়ার ভদ্রকালী এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই এলাকার একটি বাড়িতে স্ত্রী পায়েল এবং শিশুকন্যা অদ্রিজাকে নিয়ে থাকতেন কাশীনাথ। বুধবার ভোরে তিন জনকেই রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, তিন জনের গলাতেই ধারালো কোনও অস্ত্রের কোপের চিহ্ন রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, শরীরেও মিলেছে একাধিক আঘাতের চিহ্ন। পুলিশ তিন জনকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে।
আরও পড়ুন:
কাশীনাথের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। কী ঘটেছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। তবে তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, পারিবারিক অশান্তির কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। কাশীনাথই প্রথমে স্ত্রী এবং কন্যাকে খুন করেন। পরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে সন্দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, এই বিষয়ে প্রতিবেশী এবং পরিবারের অন্যদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে যান শ্রীরামপুরের ডিসিপি অর্ণব বিশ্বাস। ঘটনাস্থল ঘুরে তিনি জানান, পুলিশ খবর পেয়ে তিন জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে কী কারণে এই ঘটনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।