ছবিটা এখনও বদলাল না।
জিটি রোড ধরে বর্ধমানের দিকে যেতে চন্দননগর পুর এলাকার শুরুতেই পড়ে ২১ নম্বর ওয়ার্ড। রাস্তার বাঁ দিকে। এ তল্লাটে যে কোনও দিন গেলেই দেখা যাবে, রাস্তাঘাট, অলি-গলি আবর্জনায় ভর্তি। ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা থেকে আবর্জনা কুকুরে ছড়াচ্ছে। ওয়ার্ডের প্রতিটি মোড়ে রয়েছে ভ্যাট। সেখান থেকেও আবর্জনা উপতে পড়ছে রাস্তায়। কবে পরিষ্কার হয় কে জানে!
এই ওয়ার্ড দিয়ে গিয়েছে চন্দননগরের মূল নিকাশি ব্যবস্থা। যা মানুষের কাছে ‘গড়’ বলে পরিচিত। গড়ের দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ার ফলে ওয়ার্ডের বেশ কিছু অংশে নিকাশি সমস্যা রয়েছে। তবে, সম্প্রতি পুরসভার তরফে গড় সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে।
বাম জমানায় ওয়ার্ডটি বিরোধীদের ‘গড়’ বলে পরিচিত ছিল। শেষ দফায় ওয়ার্ডটি শাসক দলের অধীনে ছিল। গত পুরভোটে এখানে ত্রিমুখী লড়াই হয়েছিল। শাসক দলের প্রার্থী নিকটতম বিজেপি প্রার্থীকে প্রায় ১৪০০ ভোটে হারান। তবে, পুরবোর্ড ভেঙে যাওয়ায় এলাকাবাসীর সময়মতো বিভিন্ন পরিষেবা পেতে সমস্যা হয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে, ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে জনমানসে। রয়েছে শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সমস্যাও।
ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের অভিযোগ, হালফিলে এলাকার উন্নয়ন দেখা যায়নি। রাস্তাঘাট যা হয়েছে সবই বিগত পুরবোর্ডের সময়ে। এলাকার ন্যূনতম পরিষেবা সঠিক সময় পাওয়া যেত না। বিভিন্ন কাজের জন্য পুরসভা অথবা বিধায়কের কাছে ছুটতে হয়। এতে নিত্য মানুষকে সমস্যায় পড়তে হত।
এলাকার সাফাই নিয়েও মানুষের ক্ষোভ রয়েছে। এই ওয়ার্ডের নতুনপাড়ার বাসিন্দা দেবব্রত দে বলেন, "নিজের পাড়াকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে মানুষকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। পুরসভা থেকে আবর্জনা রাখার পাত্র দিয়েছে। সেগুলোতে আবর্জনা না রেখে অন্য কাজে ব্যবহার করেন। আমার বাড়ির সামনে একটি আবর্জনা ফেলার জায়গা রয়েছে। এখানে অন্য জায়গার মানুষ এসে আবর্জনা ফেলছেন। পুরসভাকে এ বিষয়ে আরো বেশি কঠোর হতে হবে।"