E-Paper

ছ’টি শ্রেণির পাঁচটি ঘর, সমস্যা পড়াশোনায়

১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই স্কুলে পড়ুয়া ১৬৩ জন। এক পার্শ্ব শিক্ষিকা-সহ ছ’জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন।

নুরুল আবসার

শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫ ০৭:২৬
একই শ্রেণীকক্ষে দুটি শ্রেণীর পড়ুয়া।

একই শ্রেণীকক্ষে দুটি শ্রেণীর পড়ুয়া। নিজস্ব চিত্র।

স্কুলে পড়ানো হয় প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। ছ’টি শ্রেণির জন্য বরাদ্দ মাত্র পাঁচটি শ্রেণিকক্ষ!

এই অবস্থায় পঠনপাঠনে অসুবিধা হচ্ছে জগৎবল্লভপুর ব্রাহ্মণপাড়া জুনিয়র হাই স্কুল সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। শিক্ষকেরা জানান, প্রয়োজনীয় শ্রেণিকক্ষের অভাবে প্রাক প্রাথমিক এবং প্রথম শ্রেণির জনা ৫০ পড়ুয়াকে এক সঙ্গে বসিয়ে পড়াতে হয়।

১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই স্কুলে পড়ুয়া ১৬৩ জন। এক পার্শ্ব শিক্ষিকা-সহ ছ’জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন। পড়ুয়াদের অধিকাংশই তফসিলি সম্প্রদায়ভুক্ত এবং আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া অংশের। প্রধান শিক্ষিকা নন্দিতা তমসা হালদার বলেন, ‘‘স্কুলের বারান্দাও নেই, যেখানে একটি শ্রেণির পঠনপাঠন চালানো যায়। একটি অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ আমাদের স্কুলে দরকার। স্কুল পরিদর্শক তো বটেই, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং বিধায়ককে সমস্যার কথা জানিয়েছি।’’

শুধু শ্রেণিকক্ষই নয়, অভাব আছে হলঘরেরও। প্রতি শনিবার দ্বিতীয় পিরিয়ডের পরে ‘আনন্দ পরিসর’ নামে একটি কর্মসূচি পালিত হয়। সেখানে পড়ুয়ারা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। প্রধান শিক্ষিকার কথায়, ‘‘এখন একটি শ্রেণিকক্ষে এই কর্মসূচি করা হয়। হলঘর হলে ভাল হয়।’’

জগৎবল্লভপুরের বিধায়ক সীতানাথ ঘোষ বলেন, ‘‘সমস্যাটি জানি। দেখছি, কী করা যায়।’’ জগৎবল্লভপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রঞ্জন কুন্ডু বলেন, ‘‘স্কুলে গিয়ে দেখেছি, শ্রেণিকক্ষ কম। একটি অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ তৈরির প্রস্তাব আমি দিয়েছি। টাকা এলেইকাজ হবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Jagatballavpur

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy