স্কুলে আতর নিয়ে যাওয়ায়পাঁচ বছরের এক শিশু পড়ুয়াকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম ওই শিশুটিকেডোমজুড় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটে বাঁকড়ার একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম কিন্ডারগার্টেন স্কুলে। যদিও এই ঘটনায় রাত পর্যন্ত পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
শিশুটির মা স্বরূপা খাতুনের অভিযোগ, তাঁর মেয়ে বাড়িথেকে লুকিয়ে একটি আতরেরশিশি স্কুলে নিয়ে গিয়েছিল।প্রধান শিক্ষক বারণ করা সত্ত্বেও শিশুটি ক্লাসে আতরের শিশি বার করেছিল বলে অভিযোগ।শিশুটির মায়ের দাবি, বারণ করা সত্ত্বেও তাঁর মেয়ে ক্লাসে আতরের শিশি বার করায় প্রধান শিক্ষকরেগে গিয়ে তার গালে একের পরএক চড় কষান। তাতেই শিশুটিঅসুস্থ হয়ে পড়ে। এই ঘটনার পরে মেয়ে বাড়ি ফিরলে বিষয়টিনজরে আসে তার মায়ের। তিনিএর পরে স্কুলে গিয়ে প্রধানশিক্ষকের কাছে জানতে চান, কী কারণে তাঁর মেয়েকে এ ভাবে আঘাত করা হল? তখন প্রধান শিক্ষক মারধরের কথা স্বীকার করে নেন বলে মায়ের দাবি।
কেন তাঁর শিশুকন্যাকে ক্লাসে সামান্য একটি ঘটনার জন্য ওই ভাবে মারধর করা হল,সেই প্রশ্ন তুলেছেন পড়ুয়ার বাবাও। তিনি জানান, তাঁর মেয়েকে এমন ভাবে মারা হয়েছে যে, তার গালে, চোখে কালশিটে পড়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘শিশুরা একটুদুষ্টুমি বা ভুল কাজ করতেই পারে।তার জন্য রেগে গিয়ে এমনভাবে মারধর করা হবে?’’ জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত প্রধানশিক্ষকই ওই কিন্ডারগার্টেন স্কুলের মালিক। এ ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য জানতে চাওয়া হলেও তিনিদেখা করতে বা কথা বলতেঅস্বীকার করেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)