হাত-পা এবং মুখে টেপ বাঁধা অবস্থায় হাওড়ার অপহৃত এক রত্ন ব্যবসায়ীর দেহ মিলেছিল নবমীর সন্ধ্যায়, হুগলির চন্দননগরের একটি ফ্ল্যাটে। ওয়াসিম আক্রম (৩০) নামে ওই ব্যবসায়ীকে খুনের অভিযোগ ওঠে কাজী মহসিন নামে আর এক রত্ন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। ভাড়ার ফ্ল্যাটটি তারই। শুক্রবার রাত পর্যন্ত পুলিশ অভিযুক্তকে ধরতে পারেনি। হদিস মেলেনি ওয়াসিমের কাছে থাকা কয়েক লক্ষ টাকার রত্নেরও।
নিহতের বাড়ি হাওড়ার গোলাবাড়িতে। হাওড়া সিটি পুলিশ এবং চন্দননগর কমিশনারেট একযোগে তদন্ত চালাচ্ছে। তদন্তকারীরা জানান, ব্যবসায়িক কারণে মহসিনের কাছে যাচ্ছেন বলে ষষ্ঠীর সকালে বাড়িতে জানিয়ে বেরিয়েছিলেন ওয়াসিম। পরে, বাড়ির লোকজন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে মহসিনের বিরুদ্ধে গোলাবাড়ি থানায় অপহরণের অভিযোগ জানান। দেহ উদ্ধারের পরে, মহসিনের বিরুদ্ধে খুনের মামলাও রুজু করা হয়েছে।
চন্দননগর কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘উদ্ধারের সময় দেহটিতে পচন ধরেছিল। শ্বাসরোধ করে খুন বলে মনে হচ্ছে। ময়না তদন্তের জন্য শুক্রবার দেহ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে, খুনের প্রকৃত কারণ জানা যাবে। মহসিন পলাতক। খোঁজ চলছে।’’
স্থানীয় সূত্রের খবর, মহসিন আদতে হুগলির ভদ্রেশ্বরের খুঁড়িগাছির বাসিন্দা। বছর দুয়েক সে চন্দননগরের লিচুতলার হাজিনগর বাই লেনের ওই ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়ে একাই থাকত। নবমীর সন্ধ্যায় পুলিশ ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ওয়াসিমের দেহ উদ্ধার করে।
নিহতের দাদা আরশাদ ইকবাল জানান, নীলা, চুনী, পোখরাজ-সহ প্রায় ৬০ লক্ষ টাকার রত্ন নিয়ে ওয়াসিম বিক্রি করতে আসেন মহসিনের কাছে। ষষ্ঠীতেই ওয়াসিমের ফেরার কথা ছিল। তাঁর অভিযোগ, ‘‘ভাইয়ের কাছে থাকা রত্ন হাতাবে বলে ছক কষে খুন করেছে মহসিন। মনে হচ্ছে, আরও কয়েক জন জড়িত। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করুক পুলিশ-প্রশাসন।’’ সূত্রের খবর, আগেও অনেকের থেকে দামি রত্ন নিয়ে টাকা না দেওয়ার অভিযোগ ছিল মহসিনের বিরুদ্ধে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)