পান্ডুয়া বৈঁচিগ্রামের একটি বেসরকারি কলেজের ভোট গণনা কেন্দ্রের সামনে রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থকদের ভিড়। —নিজস্ব চিত্র।
নিয়োগ দুর্নীতিতে হুগলির বলাগড়ের দুই যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কুন্তল ঘোষ (দু’জনকেই তৃণমূল বহিষ্কার করেছে) হাজতে। তা নিয়ে জনমানসে প্রতিক্রিয়া কম হয়নি। তার উপরে, দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রবল হয়ে উঠেছিল এখানে। দলেই দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছে। দলের গোঁজপ্রার্থীদের উপস্থিতিও ছিল। এ সব ছাপিয়েই বলাগড় ব্লকে ১৩টি পঞ্চায়েতের প্রত্যেকটিতে ক্ষমতা ধরে রাখল তৃণমূল।
এই ব্লকে পঞ্চায়েতের মোট আসন ২২৪। ভোটের ফলে দেখা যাচ্ছে, কার্যত কোনও পঞ্চায়েতেই শাসকদলকে বিশেষ বেগ দিতে পারেননি বিরোধীরা। গোঁজপ্রার্থীরা অল্প কয়েকটি আসনে জিতেছেন। রাজনৈতিক মহলের একটি অংশের ব্যাখ্যা, তৃণমূলের ‘দুর্নীতি’ সমর্থন না করলেও, লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী প্রভৃতি প্রকল্পের সুবিধার জন্যই তৃণমূলকে বেছে নিয়েছেন অধিকাংশ ভোটার।
দুর্নীতি এবং ভাবমূর্তি প্রসঙ্গে দলের একাংশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের প্রতীক পাওয়া প্রার্থীদের উপরেই মানুষ ভরসা করেছেন। আমার দেওয়া প্রার্থিতালিকা অনুযায়ী যাঁরা দলীয় প্রতীক পেয়েছিলেন, তাঁদের বেশির ভাগই জিতেছেন। তৃণমূলের যাঁরা জেতেননি, দলের গদ্দাররাই তাঁদের হারিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy