E-Paper

সেতুর কাজে দেরি নিয়ে ক্ষোভ

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈদ্যবাটী-তারকেশ্বর রোড দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার পণ্যবাহী ট্রাক যাতায়াত করে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২৪ ০৮:৪০
পুরাতন সেতু সংলগ্ন রাস্তায় ফাটল।

পুরাতন সেতু সংলগ্ন রাস্তায় ফাটল। নিজস্ব চিত্র।

শ্রীরামপুর থানা এলাকায় দিল্লি রোড সংলগ্ন বৈদ্যবাটী-তারকেশ্বর রোডে ঘুঙির খালের উপর নতুন সেতু তৈরির কাজে ঢিলেমির অভিযোগ তুললেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনকি সামান্য বৃষ্টিতেই পুরাতন কংক্রিটের সেতুর পাশের রাস্তায় ফাটলও দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসীর আশঙ্কা, যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। তবে এ নিয়ে পূর্ত দফতরের এক কর্তা জানান, দুর্ঘটনা এড়াতে এবং দ্রুত নতুন ব্রিজ তৈরির জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈদ্যবাটী-তারকেশ্বর রোড দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার পণ্যবাহী ট্রাক যাতায়াত করে। বৈদ্যবাটীর জিটি রোড থেকে দিল্লি রোড ও দুর্গাপুর রোডে যাওয়ার আগে খালের উপরে থাকা সেতুটি দীর্ঘদিনের পুরনো। নতুন সেতু তৈরি হওয়ার পর পুরাতন সেতুটি সংস্কার করা হবে। যানজট কাটাতেই ৪-৫ মাস আগে সেতু নির্মাণ শুরু হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, কাজের গতি এতটাই ধীর যে, সমস্যায় পড়ছেন সকলে। তাঁদের ক্ষোভ, ‘‘প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধি সকলেই এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছেন, অথচ তাঁরা দেখেও কোনও সুরাহা করছেন না। ফলে দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে।’’ সামনে বর্ষা। তার আগে এই সেতুর কাজ সম্পূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন এলাকাবাসী।

পূর্ত দফতরের নির্মাণ বিভাগের এক আধিকারিক কাজের গতি কমের কথা স্বীকার করে নেন। তাঁর কথায়, ‘‘ সেতুর কাজ শুরুর পর থেকেই বন্ধ হয়নি। তবে, নির্বাচন ও শ্রমিক অভাবের কারণে কাজের গতি কম।’’

হুগলি সেচ ও জলপথ বিভাগের এক এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার জানান, এই কাজের বিষয়ে পূর্ত দফতর থেকে সেচ দফতরে কিছু জানানো হয়নি। খালের জায়গায় কাজ করার জন্য কোনও অনুমতিও নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ‘‘ওই জায়গায় খালের গভীরতা অনেক। বর্তমানে সেখানে ৫-৭ ফুট পলি জমে আছে। ওই অবস্থায় খালের মধ্যে কংক্রিটের কোনও কিছু করা হলে খালের জল যাতায়াতে বাধাপ্রাপ্ত
হতে পারে।’’ জেলার পূর্ত দফতরের এক এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার বলেন, ‘‘দুর্ঘটনা এড়াতে এবং দ্রুত নতুন সেতু নির্মাণ হওয়ার জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ সেচ ও জলপথ বিভাগে জানানো ও অনুমতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সব ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় দফতরের থেকে অনুমতি নেওয়া হয়। এই ক্ষেত্রে কী হয়েছে, খোঁজ নিয়ে দেখব।’’
এ বিষয়ে স্থানীয় বিধায়ক অরিন্দম গুঁইন বলেন, ‘‘ঠিকাদার সংস্থা দায়িত্ব নিয়ে কাজটি করছেন। জলের উপর কাজ, দীর্ঘ দিন তাপপ্রবাহ— এ সবের জন্য কাজে হয়তো দেরি হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে ও দ্রুত সেতুর কাজ শেষ করতে বিভাগীয় দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয়
ব্যবস্থা নেব।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Baidyabati

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy