গঙ্গায় ছটপুজো সেরে বাড়ি ফেরার পথে ট্রলি ভ্যান থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে গিয়েছিল তাঁদের তিন বছরের কন্যা। ঠিক সেই সময়ে পিছন থেকে আসা একটি গাড়ি শিশুটিকে সজোরে ধাক্কা মারে। মাথায় গুরুতর চোট লাগে তার। ঘটনাটি দেখতে পেয়ে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার করে এক মিনিট দূরের সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু তাতেও তাকে বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে শিশুটি।
সোমবার এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার নিত্যধন মুখার্জি রোডের বার্ন স্ট্যান্ডার্ড মোড়ে। পুনম কুমারী নামে ওই শিশুটির বাড়ি ঘটনাস্থলের কাছেই, কেলভিন কোর্ট চার্চ রোডে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে বাবা অমরজিৎ মুখিয়া, মা পূজা দেবী এবং পাঁচ বছরের দিদির সঙ্গে তেলকল ঘাটে ছটপুজোয় গিয়েছিল পুনম। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ তিন চাকার একটি ট্রলি ভ্যানে সকলের সঙ্গে ফিরছিল সে। পুনম বসেছিল ভ্যানের পিছনে। শিশুটির হাতও কেউ ধরে ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে। বার্ন স্ট্যান্ডার্ড মোড়ের কাছে আচমকা ঝাঁকুনিতে পুনম টাল সামলাতে না পেরে রাস্তায় পড়ে যায়। ওই ট্রলি ভ্যানের পিছনেই আসছিল একটি পিক-আপ ভ্যান। সেই গাড়ির যাত্রীরাও ছটপুজো সেরে ফিরছিলেন। পুনম পড়ে যেতেই পিক-আপ ভ্যানটি গিয়ে তার মাথায় সজোরে ধাক্কা মারে।
চোখের সামনে ঘটনাটি দেখে কর্তব্যরত ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীরা পিক-আপ ভ্যানটি আটকান। পুনমকে উদ্ধার করে কাছেই হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসা চলাকালীন মারা যায় সে। জানা গিয়েছে, পুনমের বাবা অমরজিৎ বড়বাজারের একটি হোটেলে রান্নার কাজ করেন। মা পূজা বাড়ি বাড়ি পরিচারিকার কাজ করেন। ওই ট্রলি ভ্যান এবং পিক-আপ ভ্যানটি আটক করেছে হাওড়া থানার পুলিশ। রাস্তার মোড়ের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)