‘সমব্যথী’ প্রকল্পের টাকা নিয়মিত আসছে না হুগলির একাধিক পুরসভায়। কোনও কোনও পুরসভা প্রাপকদের তালিকা তৈরি রাখছে টাকা এলে দেওয়ার জন্য। কিছু পুরসভা নিজস্ব তহবিল থেকে টাকা দিচ্ছে সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলিকে।
অপেক্ষাকৃত অসচ্ছল পরিবারে কারও মৃত্যু হলে শেষকৃত্যের কাজের জন্য ‘সমব্যথী’ প্রকল্পে দু’ হাজারটাকা দেয় রাজ্য সরকার। প্রকল্পটিচালু হয় কয়েক বছর আগে। হুগলির বিভিন্ন পুরসভার কর্তারা জানান, আগে এই খাতের টাকা নিয়মিত চলে আসত পুরসভার অ্যাকাউন্টে। ইদানীং তা হচ্ছে না।
জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘সাধারণ ভাবে বিধি অনুযায়ী পুরসভাগুলি সরকারি ওই প্রকল্পের টাকা ব্যবহারের নথি (ইউটিলিটি সার্টিফিকেট) রাজ্য সরকারেরনির্দিষ্ট দফতরে জমা দেওয়ার পরেই ফের ওই নির্দিষ্ট খাতে টাকা পেয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে কী হচ্ছে, খোঁজ নিয়ে বলতে হবে।’’
হুগলিতে পুরসভা ১৩টি। বিভিন্ন পুর-কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, কোথাও দীর্ঘদিন ধরেই টাকা আসছে না। কোথাও তা অনিয়মিত ভাবে আসছে। ‘ইউটিলিটি সার্টিফিকেট’ জমা দিয়েও আপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। জেলার এক পুরপ্রধান জানান, এই প্রকল্প খাতে সাধারণত পাঁচ থেকে সাত লক্ষ টাকা পাঠায় রাজ্য। তাঁরা সেই টাকার হিসাব তালিকা ধরে সরকারকে বুঝিয়ে দেন। কিন্তু গত কয়েক মাসে বিধি অনুযায়ী সব কিছু করার পরেও অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে টাকার জন্য। তাঁর সংযোজন, ‘‘এই প্রকল্প এমন একটি বিষয়, মানবিক কারণে আমরা নিজস্ব তহবিল থেকে সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলিকে টাকা দিয়ে দিচ্ছি। সরকার টাকা পাঠালে সেখান থেকে কেটে নেব।’’
অন্য এক পুরপ্রধান জানান, প্রাপকদের তালিকা তৈরি করে, ফোন নম্বর নিয়ে রাখা হচ্ছে। টাকা ঢুকলেই তাঁদের ডেকে দিয়ে দেওয়া হবে। তবে, টাকা পেতে বিলম্ব হওয়ায় কেউ কেউ পুরসভায় এসে খোঁজ নিচ্ছেন। আর এক পুরপ্রধান বলেন, ‘‘অনেকেই এই প্রকল্পের সুবিধার জন্য আবেদন করেন। এমন একটি কারণে এই টাকা দেওয়া হয়, মানুষকে অপেক্ষা করাতে খারাপ লাগে। পুরসভার নিজস্ব তহবিলই ভরসা।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)