Advertisement
০৩ মে ২০২৪
Drowning Death

স্কুল পালিয়ে ‘দুষ্টুমি’, উলুবেড়িয়ায় নদীতে স্নানে নেমে তলিয়ে গেল অষ্টম শ্রেণির ছাত্র!

বন্ধুকে ডুবে যেতে দেখে আতঙ্কে বাকি পাঁচ ছাত্র দৌড়ে ফুলেশ্বর রেল স্টেশনে চলে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের আটকে রাখে। অন্য দিকে, স্থানীয়রা উদ্ধার করতে গিয়েও নিজামুদ্দিনকে পাননি।

Howrah

ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে উদ্ধার হয় ছাত্রের দেহ। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৩ ২১:১১
Share: Save:

স্কুল পালিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে নদীতে স্নান করতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হল এক ছাত্রের। ঘটনাস্থল হাওড়ার উলুবেড়িয়ার পিলখানা। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম মহম্মদ নিজামুদ্দিন(১৪)। হাওড়ার একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল সে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার স্কুলে এসেও কয়েক জন বন্ধুকে নিয়ে পালিয়ে যায় নিজামুদ্দিন। ছয় ছাত্র স্কুল থেকে পালিয়ে ফুলেশ্বরের বৈকুণ্ঠপুরে নদী পাড়ে চলে যায়। সেখানে স্নান করতে নামে তারা। কয়েক জন প্রত্যক্ষদর্শী বলছেন, ‘‘মহম্মদ নিজামুদ্দিন নামে ছাত্রটি নদীর পাড়ে জামা-প্যান্ট, জুতো খুলে ব্যাগ রেখে জলে নামে। একটু পরে তলিয়ে যায় সে। বন্ধুকে ডুবে যেতে দেখে আতঙ্কে বাকি পাঁচ ছাত্র দৌড়ে ফুলেশ্বর রেল স্টেশনে চলে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের আটকে রাখে। অন্য দিকে, স্থানীয়রা উদ্ধার করতে গিয়েও নিজামুদ্দিনকে পাননি। পরে ফুলেশ্বর বৈকুন্ঠপুর শ্মশান সংলগ্ন এলাকায় নদী থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়। উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য উলুবেড়িয়া মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়েছে।

পুলিশ বাকি পাঁচ ছাত্রকে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ জানাচ্ছে, দুর্ঘটনার প্রায় দু’ঘণ্টা পরে দুর্ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে ছাত্রের দেহ উদ্ধার হয়। ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায় প্রতি দিন দুপুরে বিভিন্ন স্কুলের ছেলেরা বৈকুণ্ঠপুরের ওই নির্জন জায়গায় চলে আসে। অনেকেই আবার নদীতে নামে। সেই রকমই নদীতে নেমে এই দুর্ঘটনা ঘটল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Drowning Death Howrah Uluberia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE