E-Paper

মাইক বাজানোর প্রতিবাদে মার পুলিশকে, ধৃত মহিলা-সহ ১১

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দাদপুরের আমরা গ্রাম থেকে জনা কুড়ির একটি দল গিয়েছিল বলাগড়ে চড়ুইভাতি করতে। বিকেলে ফেরার পথে তাঁদের ট্রাক্টরে তারস্বরে মাইক বাজছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:১৩
মাইকের চোঙ-সহ ট্রাক্টর আটক দাদপুরে।

মাইকের চোঙ-সহ ট্রাক্টর আটক দাদপুরে। —নিজস্ব চিত্র।

তারস্বরে মাইক বাজানোর প্রতিবাদে জুটল মার। প্রহৃত হলেন এক দোকান মালিক। বাদ গেলেন না সাব ইন্সপেক্টর-সহ চার পুলিশকর্মীও। তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রবিবার এমন ঘটনারই সাক্ষী রইল দাদপুর। শব্দবিধি লঙ্ঘন ও সরকারি কর্মী-সহ অন্যদের মারধরের অভিযোগে এক মহিলা-সহ ১১ জনকে গ্রেফতার করা হল। ৪৫টি চোঙ-সহ একটি ট্রাক্টর আটক করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার চুঁচুড়া আদালতে ধৃতদের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দাদপুরের আমরা গ্রাম থেকে জনা কুড়ির একটি দল গিয়েছিল বলাগড়ে চড়ুইভাতি করতে। বিকেলে ফেরার পথে তাঁদের ট্রাক্টরে তারস্বরে মাইক বাজছিল। পান্ডুয়ার দ্বারবাসিনী এলাকায় একটি মিষ্টির দোকানে ট্রাক্টরটি কিছুক্ষণ দাঁড়িয়েছিল। সেই সময় মাইকের শব্দ আস্তে করতে বলেন ওই দোকানের মালিক কাশীনাথ ঘোষ। সেই সময় তাঁর সঙ্গে ঝগড়া
শুরু হল ওই দলের। এমনকি তাঁকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দু’জনকে গ্রেফতার করে।

কাশীনাথ বলেন, “দোকানে মিষ্টি কিনতে এসেছিল ওরা। কিছু শুনতে পাচ্ছিলাম না। মাইক বাজানোর প্রতিবাদ করি বলে মারধর করে। দোকানেও ভাঙচুর করেছে। স্থানীয়রাই দু’জনকে ধরে রেখেছিল। পরে পুলিশ ওদের ধরে।’’

এখানেই শেষ নয়। বাকি দল ফিরে যায় আমরায়। গ্রামের চৌরাস্তার মোড়ে সেই মাইকই জোরে চালিয়ে চলছিল নাচ। পুলিশ মাইক বন্ধ করতে বললে তাদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান দাদপুর থানার ওসি তন্ময় বাগ। তিনি ৯ জনকে ধরেন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Pandua

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy